শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। চারদিকে উৎসবের মেজাজ। আর এর মাঝেই কলকাতা শহরে ফের চলল গুলি। গার্ডেনরিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। গার্ডেনরিচে ডিসি পোর্টের অফিসের কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নাগাদ গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপরেই ফুটপাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখা যায়। বছর তিরিশের ওই ব্যক্তির কাছে একটি কালো ব্যাগও পাওয়া গেছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী ও ডিসি পোর্ট। তবে কেউ যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, না যুবক আত্মঘাতী হয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। উদ্ধার হয়েছে একটি রিভলভার।
মাথায় গুলি লাগে ওই ব্যাক্তির। রক্তাক্ত দেহের পাশেই পড়ে ছিল বন্দুক। উদ্ধার একটি ব্যাগও। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা জানতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবকের মাথায় গুলি লেগেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে খুন করে তাঁর হাতে অস্ত্র ধরিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতিরা। যাতে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে হয়। অথবা ওই যুবক সত্যিই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। দুই ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠছে, অস্ত্র এল কোথা থেকে?
প্রসঙ্গত, রবিবার মহালয়ার দিনও খাস কলকাতায় চলেছিল গুলি। চারু মার্কেট এলাকার একটি জিমে ঢুকে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। জিমের মালিককে নিশানা করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ, যদিও ঘটনার সময় মালিক জিমে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কে বা কারা এভাবে ভরদুপুরে গুলি চালাল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় আচমকা এলাকার একটি জিমে হাজির হন দুজন। তাঁদের পরণে রেইনকোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর আচমকাই শোনা যায় গুলির শব্দ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জিমে ঢুকে মালিকের খোঁজ করছিলেন ওই দুজন। পরে পরপর দু রাউন্ড গুলি চালিয়ে বাইকে চেপে ফিরে যান তাঁরা। সেই সময় জিম খোলা ছিল। একটি আবাসনের নীচের তলায় রয়েছে ওই জিম। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
বিস্তারিত আসছে....