
কলকাতার ভিআইপি রোডে বসতে চলেছে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) ৭০ ফুট উঁচু মূর্তি। বাংলার ফুটবল উন্মাদনায় যুক্ত হতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়। তবে (messi in Kolkata) তিনি সরাসরি এসে উদ্বোধন করবেন না এই মূর্তি। নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলার সম্ভাব্য জটিলতার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের (Mamata Banerjee) নির্দেশ, মূর্তির উন্মোচন হবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে, আগামী ১৩ ডিসেম্বর।
৪০ দিনে গড়া ৭০ ফুটের বিশাল কাঠামো
মূর্তির দায়িত্বে রয়েছে লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাব সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর বক্তব্য, মাত্র ৪০ দিনেই তৈরি হয়েছে এই বিরাট ফাইবারগ্লাসের কাঠামো। শিল্পী মন্টি পাল (Monty Paul) নেতৃত্ব দিয়েছেন পুরো প্রকল্পের। মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে, মেসির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি, যার অংশটুকুই প্রায় ৮ ফুট লম্বা। পুরো মূর্তির স্থায়িত্ব রক্ষায় পায়ে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ টন লোহার রড।
মেসি কি উদ্বোধনে আসবেন? প্রশ্নের জবাব ‘না’
আগেই আলোচনা হয়েছিল, মেসির সফরসূচিতে (messi in kolkata date) শ্রীভূমি না থাকলেও শহরে যখন তিনি থাকবেন, তখন হয়তো একঝলক তাঁকে দেখা যাবে মূর্তির সামনে। কিন্তু নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সব দিক ভেবে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, উদ্বোধন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে। ফলে ব্যক্তিগতভাবে মেসির উপস্থিতির আশা আপাতত তলানিতে।
শ্রীভূমির বক্তব্য
তাদের দাবি, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়ই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। মেসি না এলেও, তাঁর সম্মানে তৈরী এই বিশাল মূর্তি বাংলা তথা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নেবে।
মূর্তিকে দাঁড় করানোই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
শুধু মূর্তি তৈরি নয়, সেটিকে এলাকায় এনে স্থাপন করাটাই ছিল প্রকল্পের সবচেয়ে কঠিন কাজ। শ্রীভূমির অস্থায়ী গ্যারেজ থেকে ৫ ডিসেম্বর রাতভর ট্রলি-ট্রাক ও ক্রেন দিয়ে টেনে আনা হয় মূর্তিটি।
ওভারহেড তার খুলে পথ তৈরি
সরু গলিতে ওভারহেড তার থাকায় কয়েক জায়গায় তা খুলে ফেলতে হয়। এর আগের দিন পর্যন্ত দক্ষিণ দমদম পৌরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে চলেছে আলোচনা, কোন রাস্তায় বাধা কম, কোথায় ট্রলি ঘোরানো সম্ভব, কোন পথে ক্রেন প্রবেশ করতে পারবে ইত্যাদি।
মূর্তির অংশ আলাদা করে তৈরি
মূর্তির মুখ খোদাই করতে শিল্পীর লেগেছে ১৫ দিন। ২১ ফুট ধড়। ১৯ ফুট কোমর থেকে পা। ১৪ ফুট হাত প্রতিটি অংশ আলাদা তৈরি করে ভিআইপি রোডের ঘড়িঘর সংলগ্ন স্থানে জোড়া দেওয়া হয়েছে। একটি কংক্রিটের পাদদেশে বসানো হয়েছে মূর্তির ১৯ ফুট উঁচু তলা-অংশ। ঠিক তার ওপর দাঁড়িয়ে ঝালাই করা হয়েছে জোড়াগুলো।