বুধবার তাণ্ডব হয়েছে হাসপাতালে, আর বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার দিবসের দুপুরে সেই আরজি কর হাসপাতালে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বললেন ভাঙা ধর্নামঞ্চে থাকা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে। আশ্বাস দেন সুবিচার ও পাশে থাকার। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যপাল আন্দোলনকারীদের বলেন, ‘আপাতত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিন। এর পর আপনাদের সঙ্গে কথা বলে, আপনাদের মতামত নিয়েই যাবতীয় পদক্ষেপ করব আমরা।’
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে এসেই প্রথমে ধর্না মঞ্চের সামনে পৌঁছন তিনি। কথা বলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক-ছাত্রদের সঙ্গে। পড়ুয়ারা রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে থাকেন, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি? হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর নিয়েই বা কী বক্তব্য রাজ্যপালের? এতে সিভি আনন্দ বোসের উত্তর , ‘‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা বিচার পাবেন। আমরা সকলে রয়েছি আপনাদের সঙ্গে। আমাদের সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ এর পরে এমার্জেন্সি গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকেন তিনি। পরিদর্শন করে দেখেন, গতকাল রাতের হামলায় কোন কোন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে। সেমিনার হলের পরিস্থিতিও দেখেন তিনি। হাসপাতালের নার্স ও কর্মীদের অভিযোগও শোনেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে বুধবারই মুখ খোলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বললেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা ভয়াবহ। এতে আমাদের বিবেকে একটা ঝাঁকুনি লাগা উচিত। যা ঘটেছে, তা গোটা বাংলার কাছে লজ্জার। দেশ তো বটেই, মানবজাতির কাছেও লজ্জার।’’
বুধবার বিকেলে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যপালের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানেই প্রথম আরজি করের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সমালোচনা করতে শোনা যায় রাজ্যপালকে। একই সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের দায়িত্ব বাংলা এবং ভারতকে মহিলাদের থাকার জন্য নিরাপদ করে তোলা। এটা বড় দায়িত্ব। যদি এখন আমরা সুযোগ হারাই তবে, ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি।’’
এদিকে বুধবার রাতে অশান্ত আরজি কর মেডিক্যালসের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ট্যুইট করে বলেছেন, 'আরজিকরের কাছে প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূলের গুন্ডাদের পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী নেতা।