Advertisement

বিধানসভার সামনে রাজ্যকে তুলধোনা ধনখড়ের, স্পিকারের পাল্টা, 'অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক'

রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মোড়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান নিয়ে কোনও ধারনা নেই। রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ তিনি।  সেই সঙ্গে সরকারি কর্মীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবিধান মেনে সরকারি কর্মীদের কাজ করা উচিত।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল ছবিরাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 25 Jan 2022,
  • अपडेटेड 2:41 PM IST
  • বিধানসভার সামনে রাজ্যকে তুলধোনা ধনখড়ের
  • স্পিকারের পাল্টা, 'অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক'
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মোড়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান নিয়ে কোনও ধারনা নেই। রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ তিনি।  সেই সঙ্গে সরকারি কর্মীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবিধান মেনে সরকারি কর্মীদের কাজ করা উচিত। রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে রাজ্যপাল বলেন, বাংলায় আইনের শাসন নেই।

কী বললেন রাজ্যপাল

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, "রাজ্যের সরকারি অফিসারদের সংবিধান মেনে কাজ করা উচিত। রাজভবন কী করতে পারে জানা নেই সরকারি অফিসারদের। বাংলার গণতন্ত্র বিপদের মুখে। বাংলার আইনের শাসন নেই। ভোট পরবর্তী হিংসা তার প্রমাণ। কোনও ফাইল রাজভবনে আটকে নেই। বিলে সই করা হয়নি বলে মিথ্যে বলা হচ্ছে। বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা নেই।  বাংলায় আইনের শাসন নেই। এখানে রয়েছে শাসকের আইন। বিএসএফ নিয়ে তথ্য চেয়েছিলাম সেটা দেওয়া হয়নি। স্পিকার রাজ্যপালকে ব্ল্যাকআউট করেছেন। রাজ্যপাল হিসাবে জানতে চেয়েছিলাম মা ক্যান্টিনের খরচ কত। সেটাও বলা হয়নি। রাজ্যের সরকারি অফিসাররা রাজ্যপালের সাংবিধানিক মর্যদা ভুলে গিয়েছেন।"

আরও পড়ুন

একাধিক ইস্যুতে কটাক্ষ

রাজ্যপাল আরও বলেন, "রাজ্যপালকে না বলেই কীভাবে ২৫ জন উপচার্যকে নিয়োগ করা হল রাজ্যে। এভাবে উপচার্য নিয়োগ দেশে আর কোথাও হয়? পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে না বলে কিছু করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার কখনও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় না। রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধান নিয়ে কোনও ধারনা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আমার কাছে কোনও ফাইল নেই। আমার কাছে ফাইন আনলে সেটা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিই। হাওড়ার পুরবিলও রাজভবনে আটকে নেই। যে ভাষায় রাজ্যপালকে চিঠি লেখা হয়, তা অত্যন্ত লজ্জার। সৌগত রায় বলেছেন, রাজ্যপাল রোজ ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। আমি সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করি না। সংবিধানকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।"

Advertisement

পাল্টা তোপ স্পিকারের

রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের পরেই পাল্টা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিধানসভা এমন একটা জায়গা যেখানে সব তথ্য আসা দরকার। কোনও তথ্য না আসার আগে উনি কী করে এটা বললেন জানি না। ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। রাজ্যপালের এমন মন্তব্য অসৌজন্যমূলক বলে আমি মনে করি। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে অনেক রাজ্যপাল এসেছেন। কিন্তু কেউ কখনও এমন মন্তব্য করেননি।"

Read more!
Advertisement
Advertisement