Advertisement

Buddhadeb Bhattacharjee Health Update: স্বাস্থ্যের উন্নতি হলেও সংকট কাটেনি বুদ্ধদেবের, সিটি স্ক্যান রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে

কেমন রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে আমজনতা সকলেই উদ্বেগে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠন তিনি এই প্রার্থনাই চলছে। জানা যাচ্ছে শনিবারের থেকে রবিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্যের সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে সংকট এখনও কাটেনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।

কেমন আছেন বুদ্ধদেব?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 31 Jul 2023,
  • अपडेटेड 11:24 AM IST

কেমন রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?  বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে আমজনতা সকলেই উদ্বেগে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠন তিনি এই প্রার্থনাই চলছে। জানা যাচ্ছে শনিবারের থেকে রবিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্যের সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে সংকট এখনও কাটেনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। 

বর্তমানে আলিপুরের উডল্যান্ড হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। এদিন সকালে  তাঁর শারীরিক অবস্থার নতুন করে অবনতি হয়নি। কিন্তু এখনও সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বুকে  সিটি স্ক্যান করানো হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ পরিস্থিতি জানতেই এই স্ক্যান করানো হয়েছে। স্ক্যানের রিপোর্টের ভিত্তিতেই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তার ভেন্টিলেশনের মাত্রা কম করা যাবে কি না।  একইসঙ্গে করা হয়েছে বেশ কিছু রুটিন চেকআপ। সিটি স্ক্যানের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন‌ মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুসের দু’দিকেই সংক্রমণ রয়েছে। ফুসফুসের ডানদিকে সংক্রমণের মাত্রা বেশি।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আলোচনায় বসবেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। তাঁর রক্তে সিআরপির পরিমাণ কত, তার জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন চিকিৎসকেরা। জানা যাচ্ছে, বিছানায় শোওয়ার অবস্থান বদল করে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জ্বরের মাত্রা কমেছে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। 

রক্তে সিআরপি-র পরিমাণ কমে গেলে বোঝা যাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে সংক্রমণের মাত্রা কমেছে। যার অর্থ, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ কাজ করছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময়ে এই সিআরপির মাত্রা বেশি ছিল বুদ্ধবাবুর। তবে বুদ্ধদেবের দু’টি ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আগে থেকেই ফুসফুস দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত থাকার ফলে ‘লাং ফাইব্রোসিস’-হয়েছে। চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় এটির অর্থ, ফুসফুসের টিস্যুগুলি শক্ত এবং কঠিন হয়ে যাওয়া।

Advertisement

জানা গিয়েছে, রবিবার নতুন করে আর জ্বর আসেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। অ্যান্টি বায়োটিক চলছে। ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। কথা শুনতে ও বুঝতে পারছেন। সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চেকআপও হয়। কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। সোমবার সকালে বুদ্ধবাবুর ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রয়েছে বলে হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবার  সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এমনিতে তিনি সিওপিডি-তে আক্রান্ত। শুক্রবার থেকে শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল। শনিবার সকাল থেকে তা আরও বৃদ্ধ পায়। ক্রমশ আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা আর ঝুঁকি নিতে চাননি৷ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন৷ এর পরেই শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে ২০ নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দু’টি ফুসফুসেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় রক্তের বেশ কয়েকটি মাপকাঠিতেও গোলমাল রয়েছে। হৃদ্‌যন্ত্রেও সামান্য সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় শরীরে সামান্য তাপমাত্রা ছিল৷ পরে অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়৷

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement