Advertisement

Medinipur medical college death: মেদিনীপুর মেডিক্যাল-কাণ্ডে এখনই CBI নয়, রাজ্যের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি ও সদ্যোজাত মৃত্যুর ঘটনায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল-কাণ্ডে এখনই CBI নয়, রাজ্যের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্টমেদিনীপুর মেডিক্যাল-কাণ্ডে এখনই CBI নয়, রাজ্যের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Jan 2025,
  • अपडेटेड 1:06 PM IST
  • স্বাস্থ্য দফতর ও মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব
  • স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সিনিয়র সচিব চৈতালি চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি ও সদ্যোজাত মৃত্যুর ঘটনায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই, জনস্বার্থ মামলায় জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। হাইকোর্ট সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারগুলিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও বলেছে। এছাড়াও, কর্নাটক সরকার যে ১২টি সংস্থাকে 'ব্ল্যাক লিস্টেড' করেছিল, সেবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জানুয়ারি।

এদিকে, গোটা ঘটনায় প্রশাসনিক স্তরেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সিনিয়র সচিব চৈতালি চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতেই এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। ওষুধ সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভাঞ্জন দাসকে।

সরকারি হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ও আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে হওয়া শুনানিতে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ও আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ২০২৪ সালের ২২ মার্চ কর্নাটক সরকার দূষিত স্যালাইন দেওয়ার জন্য একটি সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছিল। তাদের তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েছিল কর্নাটক সরকার। তা সত্ত্বেও দূষিত স্যালাইনের সরবরাহ অব্যাহত ছিল ও গর্ভবতী মহিলাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে এক মহিলার মারাত্মক পরিণতি হওয়ার আগে পর্যন্ত এটা জানা যায়নি। রাজ্য সরকার বলেছিল যে চলতি মাসেই জানিয়েছিল যে এই স্যালাইন ব্যবহার করা যাবে না। তবুও এটা ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে, আরও এক মৃত্যু। এবার প্রাণ গেল অসুস্থ প্রসূতির সদ্যোজাতর। মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি থাকা রেখা সাউয়ের সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ভেন্টিলেশনে টানা সাত দিন লড়াইয়ের পর অবশেষে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে সূত্রে খবর, জন্মের পর থেকেই কাঁদেনি শিশুটি। কিডনির রোগ, জন্ডিস-সহ একাধিক রোগে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেলের মাতৃমা বিভাগে মারা যায় রেখা সাউয়ের শিশুসন্তান।

Advertisement

গত বুধবার অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি রাতে সিজারিয়ান সেকশন হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। এদের মধ্যে মারা যান মামনি রুইদাস। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন এই তিন প্রসূতি। বাকি একজন অর্থাৎ এই রেখা সাউ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন। এক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবারই রেখার কোল আলো করে এসেছিল শিশুটি। বেলদা সংলগ্ন খাকুড়দার বাসিন্দা রেখা। রেখার চিকিৎসা মেদিনীপুর মেডিক্যালেই চলছিল। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে তিনদিন চিকিৎসা চলার পরে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন তিনি। তবে রেখা সুস্থ হয়ে উঠলেও গত ৮ জানুয়ারি জন্মানোর পর থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁর সন্তানকে। বৃহস্পতিবার শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে বলে পরিবাররে তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সিজারিয়ান সেকশনের বিষ স্যালাইন দেওয়ায় দ্রুত অবস্থার অবনতি হয় রেখার। এরপর হাসপাতালের বাইরের থেকে তাঁদের স্যালাইন কিনেও আনতে হয়। আর এই বিষ স্যালাইনের জন্য মৃত্যু হয়েছে শিশু পুত্রের।

Read more!
Advertisement
Advertisement