স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-তে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অবজারভেশন দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ৩৫০ জনের চাকরি খারিজ ও সিবিআইকে দেওয়া অনুসন্ধান নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আগামি ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুরনো রায়ের উপর স্থগিত রইলো সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া এই নির্দেশের ওপরে। ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরই তারা সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সিঙ্গেল বেঞ্চ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ হয়ে যাওয়া কর্মীদের চাকরি খারিজের নির্দেশ দেন। এর আগে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগের মামলাতেও কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিত করে সেই মামলা গুলির শুনানি সোমবার রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন ওই বেঞ্চে সব মামলা একসঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত এসএসসি গ্রুপ-ডিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আজি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ রাজ্যের সেই আবেদন মঞ্জুর করে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ।
গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই মামলায় ৩৫০ জনের নিয়োগ বাতিল করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ (Single Bench)। পাশাপাশি, এতদিনে যে অর্থ তাঁদের বেতন বাবদ খরচ করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সুপারিশ প্রয়োজন, তা ৩৫০ জনের ক্ষেত্রে করা হয়নি। ফলে এই ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে আদালত। এরপরই ওই মামলায় কোনও বেনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য অনুসন্ধান চালাতে বলা হয়েছিল সিবিআইকে।
পাশাপাশি আদলতের তরফে বলা হয়েছিল, চাইলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া ৩৫০ জন আদালতে হলফনামাও দাখিল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য হলফনামা দাখিল করলে তাঁদের এও জানাতে হবে কার কাছ থেকে নিয়োগপত্র বা সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন। পাশাপাশি এতদিন বেতন হিসেবে কত টাকা পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।