কথায় বলে মানুষের জন্ম এবং মৃত্যু কখনো আগে থেকে বলা যায় না। আর বৃহস্পতিবার সেই ঘটনায় ঘটলো হাওড়া স্টেশনে। জন্ম হল এক শিশুর। বিকেলে যখন বাড়ি ফেরার সময় স্টেশনে অগুণিত যাত্রী তখন ১২ নম্বর প্লাটফর্মে ওই শিশুর জন্ম হয়। শিশু এবং মাকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। হাওড়া স্টেশনের ১২ নম্বর প্লাটফর্মে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন সুমিত্রা বাসিল (৩৫) নামে এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তার ছোট মেয়ে। উদ্দেশ্য ছিল কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেস এ চেপে অন্ডালে বাড়ি ফেরা। কিন্তু ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনি যখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই সময় হঠাৎই তার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। অসুস্থ বোধ করতে থাকায় প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যেই শুয়ে পড়েন। তাকে দেখে ছুটে আসে স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ান এবং জিআরপি কর্মীরা।
মহিলা আরপিএফ কর্মীরা ওই মহিলাকে ঘিরে নেয়। চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘিরে দেওয়াল তৈরি করা হয়। সেখানেই সুমিত্রা জন্ম দেয় ফুটফুটে একটি ছেলে। পরে জিআরপি র তৎপরতায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানে এমার্জেন্সিতে প্রসূতির নাড়ি কেটে সন্তানকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এরপর দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে। সেখানে চিকিৎসক ইউ কে ঘোষের অধীনে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছে। তাদের দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। জিআরপির পক্ষ থেকে তার স্বামী রমেশ বসাল কে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনিও হাসপাতালে আসছেন। হাওড়া স্টেশনে জিআরপির এই মানবিক মুখ দেখে খুশি অন্য রেল যাত্রীরা। তারা জানিয়েছেন পুলিশকে এভাবেই তারা বিপদে পাশে পেতে চান।হাসপাতালের এক কর্মী জানান, মা শিশুর সঙ্গে খেলছে।