Advertisement

Howrah Observatory tower: হাওড়ায় কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হচ্ছে, ওপরে কী থাকবে?

হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের লাগোয়া ইস্ট–ওয়েস্ট বাইপাসের ধারে তৈরি হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার, যা কুতুব মিনারকেও পিছনে ফেলবে। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। কাছেই রয়েছে হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ব্রিজ ও বিদ্যাসাগর সেতু।

হাওড়ার পঞ্চদীপ টাওয়ার।-ফাইল ছবিহাওড়ার পঞ্চদীপ টাওয়ার।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 08 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:40 AM IST
  • হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের লাগোয়া ইস্ট–ওয়েস্ট বাইপাসের ধারে তৈরি হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার, যা কুতুব মিনারকেও পিছনে ফেলবে।
  • প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ।

হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের লাগোয়া ইস্ট–ওয়েস্ট বাইপাসের ধারে তৈরি হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার, যা কুতুব মিনারকেও পিছনে ফেলবে। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। কাছেই রয়েছে হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ব্রিজ ও বিদ্যাসাগর সেতু। টাওয়ারটির নাম রাখা হয়েছে 'পঞ্চদীপ।'

কতটা উঁচু এই মিনার?
টাওয়ারটির উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার, যা কুতুব মিনারের থেকে প্রায় ৩৮ মিটার চওড়া এবং নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের দ্বিগুণ লম্বা। শহিদ মিনারের থেকেও প্রায় ৭০ মিটার বেশি উঁচু এই নির্মীয়মাণ মিনার নিঃসন্দেহে হাওড়া ও কলকাতার আকাশরেখায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বিশেষ আকর্ষণ কী থাকছে?
পর্যবেক্ষণ মঞ্চ: ১১২ মিটার উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে প্রায় ২,০০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে একটি পর্যবেক্ষণ ডেক। একসঙ্গে ২০০ জন সেখানে দাঁড়িয়ে চারটি অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রায় ২০ কিমি দূর পর্যন্ত দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। সেখান থেকে নিউটাউন, সল্টলেক, বিমানবন্দর, হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যাবে।

রেস্তরাঁ ও ব্যাঙ্কোয়েট হল: পর্যবেক্ষণ মঞ্চের নিচে ১০৪ মিটার উচ্চতায় থাকবে একটি রেস্তরাঁ ও বিশাল ব্যাঙ্কোয়েট হল, অনেকটা বিশ্ববাংলা গেটের আদলে।

বহুতল ডেক: ২৫ মিটার ও ৫০ মিটার উচ্চতায় আরও দুটি আলাদা ডেক থাকবে।

প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা
দুটি হাইস্পিড এলিভেটর মাত্র ৪০ সেকেন্ডে ১২০ মিটার উপরে পৌঁছে দেবে দর্শকদের। প্রতিটি লিফটে একসঙ্গে ১৫ জন যেতে পারবেন। টাওয়ারটির ভিত্তি মাটির নিচে ৩৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, যাতে ১৬৯টি পাইলিং করা হয়েছে। ভূমিকম্প-প্রতিরোধী এই মিনারে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১,৪০০ টন স্টিল।

কারা কাজ করছে?
এই নজর মিনারের ডিজাইন করছে IIEST শিবপুর, আর বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা। গোটা প্রকল্পের তদারকি করছে হাওড়া পুরনিগম। 

কবে শেষ হবে কাজ?
সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নির্মাণ শেষ হবে। সেইসঙ্গে হাওড়া ও কলকাতার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হবে নতুন এক স্থাপত্য আকর্ষণ, যা শুধু বাংলাকেই নয়, গোটা দেশকে মুগ্ধ করবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement