'আমি কি কম গালাগালি খাই সারাদিন। ভূতের মতো খেটে বেরাই। গালাগালিও সবচেয়ে বেশি খাই। আমি কি অসম্মানিত হই না, যথেষ্ঠ হই। কিন্তু আমি মনে করি ক্ষমাই পরম ধর্ম। ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।' আলিপুর বডিগার্ড লাইনের প্যান্ডেল উদ্বোধনে গিয়ে এমন স্বীকারোক্তি পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি আরও বলেন, 'আমি ক্ষমায় বিশ্বাসী। সবাইকে ক্ষমা করে দিই... সব ধর্ম ও সব মানুষকে ভালোবাসি।'
এ দিনের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পী আরতী মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী মুনমুন সেন, জুন মলিয়া, দেবলীনা, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, সোহম, কলকাতা পুলিশের সব বড় কর্তা, একাধিক কাউন্সিলারেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এ বার আলিপুর বডিগার্ড লাইনসে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। আর সেই মন্ডপের ভূয়সী প্রশংয়া করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের সমস্ত পুলিশ ও তাঁদের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'পুলিশের ভুল হলে অনেক কথা হয়। কিন্তু ওরা তো পুজোতে পরিবারকে সময় দিতে পারে না। সমলোচনা সহ্য করেও কাজ করে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের কোনও অভিযোগ নেই। সিভিক, হোমগার্ডই হোক বা সাব ইন্সপেক্টর, তাঁরা দেশের জন্য, রাজ্যের জন্য নিবেদিত প্রাণ।'
পুলিশ পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'পুলিশ পরিবারের সকলের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁরা পুলিশে কর্মরত সদস্যটিকে একবারেই আটকান না। যখন-তখন তাঁদের ডিউটিতে ছেড়ে দেন। তাই স্যালুট টু ইউ। স্যালুট টু পুলিশ পরিবার।'
এখানেই শেষ না করে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিসের নানা সেবা মূলক কাজ যেমন- কমিউনিটি কিচেন সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স তৈরির কাজগুলিরও প্রশংসা করেন তিনি।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'পুলিশদের সুস্থ থাকতে হবে। তাহলেই সব ঠিক চলবে।'
কিছু হলে পরিবারকে চাকরি দেওয়া হয়
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনেক কাজ করা হয়েছে। আরও অনেক কাজ করতে হবে। তবে এখন কোনও পুলিশ মারা গেলে পরিবারের কাউকে চাকরি দিই। তার পরিবার চলবে কী করে। সেটা দেখি।'
বেশি মহিলা নিতে হবে
পুলিশ ফোর্সে মহিলাদের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি চাই যাতে পুলিশ বেশি সংখ্যক মহিলা নেওয়া হক।'
এখন কম জল হয়
আগে বডিগাইড লাইনে এক কোমড় জল হতো। আমাদের কর্পোরেশন হওয়ার পর নিকাশির হয়েছে কাজ হয়েছে। আর এই কৃতিত্ব পৌরনিগমের বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিশেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সব উৎসবেই আমরা আছি। ধর্ম আপনার আপনার, উৎসব সবার। দুর্গাপুজো এখন ইউনেস্কো হেরিটেজ।'