Advertisement

রাজ্যে সাড়ে ৫ হাজারেও বেশি বেআইনি বাজি কারখানা, বন্ধের দাবি পরিবেশপ্রেমীদের

বাজি কারখানার বিস্ফোরণে চলতি বছরেই অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। একের পর এক সিরিজ বিস্ফোরণ হয়েছে বাজি কারখানাগুলিতে। বিষয়টিতে আলাদাভাবে তদন্ত করেছে পরিবেশকর্মীদের সংগঠন 'সবুজ মঞ্চ'। অভিযোগ, প্রশাসন জানত, রাজ্যে মোট সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে।

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 31 Aug 2023,
  • अपडेटेड 11:23 AM IST
  • বাজি কারখানার বিস্ফোরণে চলতি বছরেই অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

বাজি কারখানার বিস্ফোরণে চলতি বছরেই অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। একের পর এক সিরিজ বিস্ফোরণ হয়েছে বাজি কারখানাগুলিতে। বিষয়টিতে আলাদাভাবে তদন্ত করেছে পরিবেশকর্মীদের সংগঠন 'সবুজ মঞ্চ'। অভিযোগ, প্রশাসন জানত, রাজ্যে মোট সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। এমনকি রাজ্যের মুখ্য সচিব-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতেন যে, ওই কারখানাগুলিতে বাজি তৈরি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

পরিবেশবিদ নব দত্ত অভিযোগ করেছেন যে, অবৈধ আতশবাজি ইউনিটগুলি বন্ধ করতে প্রশাসনের ব্যর্থতা ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পথ প্রশস্ত করেছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরটি জানতে পেরেছিল যে, আতশবাজি ইউনিটের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি এবং মুখ্য সচিব উপস্থিত ডিএম/এসপি/সিপিদের অনুরোধ করেছিলেন যে এই জাতীয় আরও ইউনিট আছে কিনা তা আরও শনাক্ত করতে এবং ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে।

সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত মাত্র ৭টি ইউনিট রাজ্যে সবুজ আতশবাজি তৈরির জন্য PCB থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, তাঁরা একাধিকবার চিঠি দিয়ে বিষয়টিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

গত রবিবার দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। তার পরে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির আগে সব ধরনের বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ করে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত জানান, সুপ্রিম কোর্ট এই ধরনের বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা মেনে চলা হচ্ছে না। সরকার কর্তৃক এই বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ না করাটাই শীর্ষ আদালতের অবমাননা বলে দাবি করছেন তিনি। 

ওই সংগঠনের দাবি, এর আগে এক বার সরকার ঘোষণা করেছিল যে, সব ধরনের লাইসেন্স নিয়ে মাত্র সাতটি বাজির কারখানা চলছে। তা সত্ত্বেও কেন রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার বেআইনি বাজির কারখানা চলবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠন।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement