বাংলায় ৪২ আসনে একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও জোটের আশা ছাড়ছে না কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সেটাই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাহুল-ঘনিষ্ঠ জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়,'বাংলায় বিজেপিকে হারাতে গেলে তৃণমূলের থাকাটা দরকার।'
বাংলায় রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' নিয়ে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি বলে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথাই এ দিন শোনা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনি বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কথাই বলেছেন। বাংলায় আসার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়াইয়ে সক্ষম মমতা। জোটের নাম ইন্ডিয়া দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, ইন্ডিয়া জোট সফল হোক।'
যদিও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা মমতার অনুযোগের পর না আগে, তা স্পষ্ট নয়। নেত্রীর প্রশংসা করে জয়রাম বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। খাড়গেজি ওঁকে চিঠি দিয়েছিলেন। ইমেল-ও করেছেন। সবাই চান, তৃণমূলের হয়ে কেউ আসুক। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আসুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য তিনি এলে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।'
জয়রাম রমেশের বক্তব্যেই স্পষ্ট মমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিয়া জোটে। এখনও কংগ্রেস যে জোটের আশা ছাড়ছে না তা-ও স্পষ্ট গিয়েছে। জয়রামের কথায়, 'ইন্ডিয়া জোট ২৮ দলের। তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ও বড় নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা তাঁকে সম্মান করি। আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী ও খাড়গেজি মমতাকে সম্মান করেন। দেশের রাজনীতিতে মমতার বিশেষ স্থান আছে। মমতাজিও চান বিজেপিকে হারাতে। আমরাও চাই বিজেপি হারুক। আমরা এক হয়ে লড়াই করব। ইন্ডিয়া জোটকে সফল করব।
তিনি এও বলেন,'আমরা মাঝামাঝি কোনও রাস্তা ঠিক বের করব। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সর্বোচ্চ স্থান তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপিকে হারাতে হলে তৃণমূলের থাকাটা দরকার, তা অনিবার্যও।'