Advertisement

Mamata Banerjee at Mayo Road: মেয়ো রোডে TMC-র মঞ্চ তুলে দিল সেনা, তড়িঘড়ি ছুটলেন মমতা, বললেন, 'এটা BJP-র কাজ'

ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দিল সেনাবাহিনী। আর এই খবর পেয়েই ছুটে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷

 TMC ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খোলা নিয়ে তোপ মমতার TMC ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খোলা নিয়ে তোপ মমতার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Sep 2025,
  • अपडेटेड 6:27 PM IST


ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দিল সেনাবাহিনী। আর এই খবর পেয়েই ছুটে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷ এ দিন সেই ধর্না মঞ্চই খুলে দেয় সেনাবাহিনী৷ এই ঘটনায় প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে শাসক শিবির। গোটা বিষয়টি অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনা বিজেপির কথায় চলছে, এমন অভিযোগও করেন তৃণমূলনেত্রী।


সোমবার খবর পেয়েই মেয়ো রোডে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের মাইকের কানেকশন কেটে দিয়েছে। স্টেজ ভেঙে দিয়েছে, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। প্যান্ডেল আর্মিকে দিয়ে খুলিয়েছে। আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ, আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত। কিন্তু সেনাকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয়, তখন দেশটা কোথায় যায়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে!'

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সেনার ওপর আমার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু বিজেপির কথায় সেনা চলছে। এর থেকেই ভাবুন দেশটার কী অবস্থা।' তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, সেনার অনুমতি নিয়েই ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। ওদের আপত্তি থাকলে আমাদের বলতে পারতো। আমরা খুলে দিতাম। তা না করে মঞ্চ ভাঙা হল। এটা অনৈতিক।'

প্রসঙ্গত,  বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রত্যেক শনি এবং রবিবার এই ধর্না মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল শাসক দলের পক্ষ থেকে৷ এ দিন সেনাবাহিনীর আধিকারিক এবং জওয়ানরা এসে সেই ধর্না মঞ্চ, বাঁশের তৈরি অস্থায়ী কাঠামো, হোর্ডিং সবই খুলে দেয়৷ গান্ধি মূর্তি সামনে এই জায়গায় অতীতেও বহু ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেনাবাহিনীর পক্ষে এ দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের জানানো হয়, শুধু শনিবার এবং রবিবার ধর্নায় বসার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু একটানা এ ভাবে ধর্না মঞ্চ বেঁধে রাখা যাবে না বলেই দাবি সেনা কর্তৃপক্ষের৷ শুধু তাই নয়, যতদিনের অনুমতি নেওয়া ছিল, সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি সেনাবাহিনীর৷ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় মঞ্চ ও ব্যারিকেড সরানো হয়েছে, তবে তৃণমূল দাবি করছে সেনাবাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের।

Advertisement

সেনার তরফে এই মঞ্চ খোলা হলেও এর নেপথ্যে বিজেপির ইন্ধন থাকতে পারে বলে এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের বললে এক মিনিটে মঞ্চ খুলে দিতাম। সরি টু সে, এটা আর্মি নয়, পিছে মে ক্যায়া হ্যায়? ছুপা রুস্তম বিজেপি হ্যায়।' রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি নেত্রী জানান, এবার থেকে মেয়ো রোডে আর নয়, রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে ভাষা ‘সন্ত্রাসে’র বিরোধিতা চলবে। এদিন সেনার মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি ব্লকে, পঞ্চয়েতে প্রতিবাদ মিছিল হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement