
রবিবারও ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হল না। এদিন বাতিল হয়েছে মোট ৭৬টি বিমান। ফলে দুর্ভোগে যাত্রীরা। সংবাদ সংস্থা PTI জানিয়েছে, এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাতিল হয়েছে ৫৩টি বিমানের উড়ান। অবতরণ বাতিল হয়েছে ২৩টির।
যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের আগাম না জানিয়ে বিমান বাতিল করা হচ্ছে। ফলে বিমানবন্দরে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারতে পারছেন না। পিছিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা বিপাকে।
কলকাতা বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, 'আমরা রবিবার মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আমাদের অত্যন্ত জরুরি কাজ ছিল। পরপর তিনবার বিমানের সূচির পরিবর্তন করা হয়। তারপর যখন টিকিট কিনতে যাই জানিয়ে দেয়, আগের থেকে দাম তিনগুণ বেশি।'
শুক্র ও শনিবারও বিমান বাতিল হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। শুক্রবার মোট ৪৭টি বিমান বাতিল হয়। শনিবার ৪১টি। এর মধ্যে ২১টি অবতরণের ও ২০টির কলকাতা থেকে উড়ানের কথা ছিল। সেই দুইদিনও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, রবিবার আরও ৬৫০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। তবে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে এই সংস্থা। গত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক বিমান বাতিল হচ্ছে ইন্ডিগোর। ছুটির দিনে হায়দরাবাদে ১১৫টি, মুম্বইয়ে ১১২টি, দিল্লিতে ১০৯টি, চেন্নাইয়ে ৩৮টি এবং অমৃতসরে ১১টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
এদিকে রবিবার ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ বিমান স্বাভাবিকভাবেই চলছে। ১৩৮টি গন্তব্যের মধ্যে ১৩৫টিতে পুনরায় সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও জোরকদমে কাজ চলছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পরষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নীতি মেনে বিমান চালাতে গেলে ইন্ডিগোর আরও কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন। সেজন্য সমস্যার মুখে পড়েছে বিমান সংস্থাটি।