পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নতুন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করা হল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হল আইপিএস রূপককুমার দত্তকে। সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক নেত্রীর নিরাপত্তা দেখভালের গুরুদায়িত্ব সামলাবেন সিবিআই-এর প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর।
আগামী লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশজুড়েই তিনি বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাবেন। আর ভিন রাজ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার গুরুদায়িত্ব সামলাবেন প্রাক্তন দুঁদে পুলিশ কর্তা রূপককুমার দত্ত। যার সঙ্গে একাধিক রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সম্পর্ক ভীষণ ভাল। জানা গিয়েছে, মূলত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কাজ শুরু করেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা, তবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে সোমবার। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে রূপক দত্তের নাম প্রস্তাব করে রাজ্যের তরফে রাজভবনে পাঠানো হয়। মে মাসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ব্যাচের আইপিএস রূপক কুমার দত্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর স্পেশ্যাল ডিরেক্টর। কর্নাটক পুলিশের ডিজি হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। জানা গিয়েছে সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর পদে তিনটি মেয়াদ কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে সিবিআই ডিরেক্টর পদে অন্যতম দাবিদারও ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর করা হয়েছিল অলোক ভার্মাকে। এর পর তার পেরেন্ট ক্যাডারে ফেরত যান আইপিএস রূপক কুমার দত্ত। ২০১৭ সালে ফ্রেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে কর্নাটক পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল পদে নিয়োগ করা হয়। কর্নাটক পুলিশের ডিজির দায়িত্ব নিয়েই সিবিআইয়ের কর্ম পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপক কুমার দত্ত। তাঁর বক্তব্য ছিল, যেভাবে সিবিআই বিভিন্ন কেসে তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা অচিরে ভেঙে পড়তে পারে। রূপক দত্তের সেই মন্তব্য নিয়ে সে সময়ে খুব আলোচনা হয়েছিল। এবার সেই দুঁদে পুলিশ কর্তাকেই নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।