যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University Student Death) এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ১৩। এর মধ্যে জামিন হয়েছে একজনের। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে এবার জয়েন্ট রেজিস্ট্রারের নামে হুমকি চিঠি এল যাদবপুরে। তাতে ঘটনায় অন্য়তম অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। দুটি চিঠিতেই সৌরভের গায়ে আঁচড় লাগলে দেখে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া রয়েছে। অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে গুলি করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। অকথ্য ভাষায় জয়েন্ট রেজিস্ট্রার গোপাল সরকার এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজও দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে। ওই চিঠি পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। স্নেহমঞ্জুর দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিঠির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চিঠি পান স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয়। দু’টি পোস্টকার্ডে লেখা চিঠি দু’টির প্রেরক হিসেবে নাম রয়েছে অধ্যাপক রানা রায়ের। চিঠি দু’টিতে প্রথমেই দু’জনকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তার পর হুমকি দেওয়া হয়েছে, “পুলিশ মিথ্যে মামলায় সৌরভকে ফাঁসাচ্ছে। সৌরভ চৌধুরীর গায়ে একটা আঁচড় পড়লে তোমাদের জীবন শেষ করে দেব। রিভলভারের একটি গুলিই যথেষ্ট।” এর পরেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। চিঠির প্রেরকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ‘স্টেক হোল্ডার’দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে রাতে পূর্ণ সময়ের এক জন আধিকারিক নিয়োগ করার প্রস্তাব ওই বৈঠকেই দিয়েছেন অধ্যাপকরা। ‘স্টেক হোল্ডার’দের বৈঠকের পরেই পড়ুয়ারা দাবি তোলেন, সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। তবে কোথায় সেই ক্যামেরা বসানো হবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে পড়ুয়াদের জানাতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, সিসি টিভির ফুটেজে কারা নজরদারি চালাবেন, তা-ও জানাতে হবে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু জানিয়েছিলেন, সব পক্ষের লিখিত মতামত পড়ার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন উপাচার্য। তার ঠিক পরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় হুমকি চিঠি পেলেন রেজিস্ট্রার এহং যুগ্ম রেজিস্ট্রার।