Advertisement

Jadavpur University: ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট, অশান্তি-বিক্ষোভ চলছেই, JU-তে কী চলছে?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের রেশ এখনও রয়েছে। শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে ক্লাসরুম ও পরীক্ষার হল প্রায় ফাঁকা ছিল। বেশিরভাগ পড়ুয়া নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। আন্দোলনের রেশ ধরে আজও তাঁদের একাংশ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।-ফাইল ছবিযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Mar 2025,
  • अपडेटेड 11:15 AM IST
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের রেশ এখনও রয়েছে।
  • শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে ক্লাসরুম ও পরীক্ষার হল প্রায় ফাঁকা ছিল।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের রেশ এখনও রয়েছে। শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে ক্লাসরুম ও পরীক্ষার হল প্রায় ফাঁকা ছিল। বেশিরভাগ পড়ুয়া নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। আন্দোলনের রেশ ধরে আজও তাঁদের একাংশ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।

শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময় এক প্রথম বর্ষের ছাত্র গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ওই ছাত্র গাড়ির নীচে পড়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয় এবং তার পদত্যাগের দাবি তোলে।

অ্যাকাডেমিক কাজে বিঘ্ন, পড়ুয়াদের উদ্বেগ
প্রতিবাদ ও ক্লাস বয়কটের ফলে পড়ুয়াদের একাংশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্র বলেন, "আমি পরীক্ষায় বসিনি কারণ আমার সহপাঠীর ওপর হামলার বিরুদ্ধে আমি সরব। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধ থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে।"

একইভাবে, অন্য এক পড়ুয়া বলেন, "আমরা ইন্দ্রানুজের পাশে রয়েছি। কিন্তু আমার পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। একাডেমিক বয়কট কতদিন চলবে, তা নিয়েও আমরা ভাবছি।"

আন্দোলনের চেহারা ও রাজনৈতিক মাত্রা
বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে প্রতিবাদী ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। একটি ব্যানারে লেখা ছিল— "লেখাপড়া করে যে, গাড়িচাপা পড়ে সে", যা পড়ুয়াদের ক্ষোভের প্রতিচ্ছবি।

এসএফআই ও এআইডিএসও বেশ কয়েকটি বিভাগের গেটে তালা লাগিয়েছে এবং মন্ত্রীর গাড়ির নিচে আহত ছাত্রের ছবির পোস্টার টাঙিয়েছে। একটি পোস্টারে লেখা ছিল— "এর পরেও তোরা ক্লাস করবি?"

এসএফআই নেতা সুবোধদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই করছি। ক্যাম্পাস নির্বাচন পুনর্বহালের দাবিতে যে কেউ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। আহত পড়ুয়া রাজনৈতিকভাবে যে দলেরই হোক, আমরা তার পাশে থাকব।"

Advertisement

এবিভিপির প্রবেশের চেষ্টা, নতুন করে উত্তেজনা
সোমবার সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়, যখন বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু এসএফআই ও অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনের বাধার মুখে পড়ে তারা। অভিযোগ, এবিভিপি কর্মীরা বামপন্থী সংগঠনের পোস্টার ও পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত অসুস্থতার কারণে ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। তিনি বলেন, "আমার রক্তচাপ বেড়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি আবার কাজে ফিরব।"

মানবিক অনুষদের এক অধ্যাপক বলেন, "আমরা পড়ুয়াদের আবেগ ও ক্ষোভ বুঝতে পারছি। কিন্তু আমরা চাই, তারা যেন দীর্ঘদিন ক্লাস থেকে দূরে না থাকে। শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিষয়টি এক বিষয়, কিন্তু একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত।"


 

Read more!
Advertisement
Advertisement