দুর্গাপুজো ও নৈহাটি ও বারাসতে কালীপুজো উপলক্ষে পূর্ব রেলের তরফ থেকে স্পেশ্যাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়েও দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে সোমবার থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে বেশ কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রতিবারই চন্দননগরে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় প্রতিমা দেখতে যাওয়ার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনের ট্রেনগুলোতে পা রাখারও জো থাকে না। শ্রীরামপুর, কোন্নগর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি তো বটেই, অন্যান্য জেলা থেকেও এইসময় মানুষ ঠাকুর দেখতে পৌঁছে যান গঙ্গাপাড়ের এই প্রাচীন শহরে।
দর্শনার্থীদের সেই প্রবল ভিড় সামাল দিতে প্রতিবারের মতো এবারও স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। আগামী ২০ নভেম্বর সোমবার থেকে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওড়া-ব্যান্ডেল ও হাওড়া-বর্ধমান লাইনে চলবে এই স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি আপ ও পাঁচটি ডাউন ট্রেন।
সবমিলিয়ে মোট ১০টি স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে এই লাইনে। এছাড়া আগামী ২৪ নভেম্বর সেখানে বিসর্জনের দিনও চালানো হবে স্পেশ্যাল ট্রেন। বিগত কয়েক বছর ধরে কলকাতার দুর্গাপুজো কার্নিভালের মতো চন্দননগরেও গঙ্গার পাড়ে স্ট্র্যান্ড রোডে কার্নিভাল আয়োজন হয়, যা দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।
রেল সূত্রে খবর, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিকেল ৫:২০ মিনিট, ৭:৫৫ মিনিট এবং রাত ১১:৩০ মিনিট এবং ১২:৩০ মিনিটে হাওড়া থেকে স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়বে ব্যান্ডেলের উদ্দেশে। একইভাবে সেগুলি ব্যান্ডেল থেকে হাওড়ার দিকে ছাড়বে সন্ধে ৬:৩৫ মিনিট, রাত ৯:২০ মিনিট, রাত ১টা এবং রাত ২টোয়।
পাশাপশি, আরও একটি স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে হাওড়া-বর্ধমান লাইনে। হাওড়া থেকে সেই স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়বে রাত ১:১৫ মিনিটে। উল্টোদিকে বর্ধমান থেকে সেই ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। অন্যদিকে শুক্রবার বিসর্জনের দিন হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে এক জোড়া স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য।
হাওড়া থেকে সেদিন ট্রেনটি ছাড়বে রাত ২:৩৫ মিনিটে। উল্টোদিকে ব্যান্ডেল থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ভোর ৪টের সময়। এছাড়াও শুক্রবার বিসর্জনের দিন মশাগ্রাম-হাওড়া লোকাল রাত ১০:১০ মিনিটে মশাগ্রাম স্টেশন ছেড়ে স্পেশ্যাল ট্রেন হিসেবে বর্ধমান থেকে ব্যান্ডেল হয়ে তারপর হাওড়ায় ফিরবে।