জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়েছে। কাজ শেষ নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের মেট্রোর ক্রশিং পয়েন্ট এসপ্ল্যানেড। এই এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন ঘিরেই পরিবহণ হাব গড়ার কথা ছিল। কিন্তু জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর নিতে নতুন জট তৈরি হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য জোকা থেকে মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লাইনের শেষ স্টেশনই ধর্মতলায় বিসি রায় মার্কেটের নিচে হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো স্টেশন তৈরির জন্য মার্কেটটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয় মেট্রো। কলকাতা মেট্রো এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রূপায়ণকারী সংস্থা আরভিএনএল-এর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বিধান মার্কেট থেকে সব ব্যবসায়ীদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু সেই কাজ নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, 'আর্মির সঙ্গে নতুন জায়গা দেওয়ার যে কথা হয়েছিল সেটা এখন ওরা দিতে চাইছে না। ফলে নির্মাণ কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এসপ্ল্যানেডে যে হাব তৈরির চিন্তাভাবনা করেছিলাম সেটাও এখন নতুন করে ভেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত আসা না যায় তাহলে পার্কস্ট্রিটে থামতে হবে। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বিসি রায় মার্কেটের জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। কিন্তু সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পুনর্বাসনের জন্য তাঁরা কোনও জমি দেবে না। বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর এলাকায় নতুন করে কোনও জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়, সেনার তরফে এমনই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর সেনার এই সিদ্ধান্তেই বিপাকে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।