আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক তথ্য। শুরুতে প্রশ্ন উঠেছিল, আরজি কর হাসপাতাল অপরাধস্থল হলেও কেন ময়নাতদন্ত সেখানেই করা হল? এতে কি ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতা থাকবে? কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতার বাবা ও জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধেই আরজি কর হাসপাতালেই মৃতার ময়নাতদন্ত হয়েছিল।
আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশি তদন্ত নিয়ে উঠেছে একের পর এক প্রশ্ন। এফআইআর নেওয়া থেকে পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছনো, ময়নাতদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এমনকি অভিযোগ, তড়িঘড়ি নির্যাতিতার শেষকৃত্য করিয়েছিল পুলিশ। এও অভিযোগ, আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ইশারায় ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেই হাসপাতালেই। তাঁর কথাতেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, কেন আরজি করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল? কী কারণে অন্য হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হল না?
যদিও সিবিআইয়ের হাতে যে নথি এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে ময়নাতদন্তের আগে পাঁচটি দাবি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে নির্যাতিতার বাবার সম্মতিও ছিল। ৯ অগাস্ট তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছে দেওয়া হয়েছিল সেই কাগজ। তাতে আরও দাবি করা হয়েছিল,অটোপসি করানোর সময় যেন দুজন মহিলা ডাক্তার থাকেন। থাকতে হবে বিচারবিভাগীয় দলকেও। এছাড়া যাতে ৪ মহিলা স্নাতকোত্তর ট্রেনি ডাক্তার উপস্থিত থাকেন তাও চাওয়া হয়েছিল ওই নথিতে।
এই নথিতেই সই রয়েছে নির্যাতিতার বাবা এবং দুজন ডাক্তারের। তা আরজি কর হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টের মাধ্যমে ডিসিপি নর্থকেও পাঠানো হয়েছিল। কলকাতার পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানান, ডাক্তারদের দাবি মেনেই অটোপসি করা হয়েছিল। গোটা পর্ব ভিডিওবন্দি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,'নথির সত্যতা কতটা সেটা বলতে হবে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। কেন দাবি মেনে নেওয়ার পরও ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিন'। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতোকে ফোন করা হয়েছিল। তাঁর প্রতিক্রিয়া, বিষয়টি ফোনে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।