জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান সারা রাত চলল স্বাস্থ্যভবনের কাছে। পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ দাবির মধ্যে রয়েছে আরজি কর কাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
সুরক্ষার আশ্বাস ডিজি-র
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, আমরা নিরাপদ পরিবেশ দিতে পারব: ডিজি রাজীব কুমার
মুখ্যসচিবের অনুরোধ
আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ করছি, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে পরিষেবা শুরু করুন: মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত
পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত?
৫টা বেজে যাওয়ার পর কোনও পদক্ষেপ নেননি মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, আমাদের মান্যতা দিতে হবে। কী করা হবে, না হবে আপনারা দেখতে পারবেন: চন্দ্রিমা
খোলা মনে আলোচনা করুন: চন্দ্রিমা
'শর্ত দিয়ে নয়, আসুন খোলা মনে আলোচনা করুন'। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা দিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
নবান্নের বৈঠকের আগে ৪ শর্ত জুনিয়র ডাক্তারদের
মুখ্যসচিবের আলোচনা-চিঠির প্রেক্ষিতে পাল্টা ইমেল পাঠালেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ৪ দফা শর্ত দিয়েছেন তাঁরা।
১। অন্তত ৩০জন প্রতিনিধিকে যেতে দিতে হবে নবান্নে।
২। পুরো বৈঠক লাইভ সম্প্রসারণ করতে হবে।
৩। শুধু ৫ দফা দাবি নিয়েই আলোচনা করতে হবে।
৪। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে বৈঠকে।
ফের চিঠি মুখ্যসচিবের
আজ ফের জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য সন্ধে ৬টায় নবান্নে ডাকা হল। মুখ্যসচিবের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের।
'আবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না প্রশাসন'
রাজ্য প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। বললেন, 'আমাদের আবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না প্রশাসন।'
সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে সাংবাদিক বৈঠক করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, 'ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে মেল করে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি।'
একটু পরেই সাংবাদিক বৈঠক
প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে অবস্থান চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একটু পরেই সাংবাদিক বৈঠক করা হবে।
নবান্নে মেল পাঠাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজি আন্দোলনকারীরা। ১৫ মিনিটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে মেল পাঠাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এখনও অবস্থানে জুনিয়র চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এখনও অবস্থান চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে, জানালেন আন্দোলনকারীরা।
অগ্নিমিত্রা পালকে 'গো ব্যাক' স্লোগান
স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের। অগ্নিমিত্রা বলেন, 'আমি আন্দোলনে আসিনি। পার্টি অফিসে যাচ্ছিলাম। ওই পথ দিয়েই যেতে হয়েছে। রাজনৈতিক রং লাগাতে চাইনি। আমরা ওঁদের পাশে আছি। গো ব্যাক বললেও পাশে আছি।'
নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা রাজ্যপালের
নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ মিনিট কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় প্রস্তুত আন্দোলনকারীরা
আন্দোলনকারীরা জানালেন তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, আলোচনায় বসলেই যে অবস্থান তুলে নেওয়া হবে তা নয়। দাবি পূরণের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে তা দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ
অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য।
দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন
অনড় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, সরকারের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ্য করলে, তবেই অবস্থান তুলবেন।
আজ জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দ্বিতীয় দিন
মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযান করেন। বিকেল গড়িয়ে রাত থেকে বুধবার সকাল হলেও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সরেননি তাঁরা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে ইস্তফা দিতে হবে। ইস্তফা দিতে হবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁরা স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযানে নেমেছেন। সেইসঙ্গে তাঁদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল, সেটা তো আছেই বলে জানিয়েছেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র প্রতিনিধিরা।
১০০মিটার দূরে চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ
স্বাস্থ্য কর্তারা খোঁজ নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা রাতে কী খাবেন। কোনও প্রয়োজন আছে কিনা। যদিও এই সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। বস্তুত, এই প্রথম স্বাস্থ্য ভবনে অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য কর্তারা। এদিকে রাতের দিকেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এলেন কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে তিলোত্তমার বাবা-মা
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সরে যাননি আন্দোলনকারীরা। সেই খবর পেয়েই মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলে আসেন তিলোত্তমার বাবা-মা ও পরিজনরা। তিলোত্তমার কাকিমা বলেন, ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে যাঁরা পারছেন না, তাঁরা কী করে কাজে ফেরার কথা বলেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি।
জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন: নির্যাতিতার বাবা
তরুণী নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন। এখন যে কথাগুলো বলছেন, সেটা বলার সাহস পাচ্ছেন তাঁদের জন্য। রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, বার্তা দেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা।
এটাই আমার উৎসব: নির্যাতিতার মা
জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে বিক্ষোভে এসে নির্যাতিতার মা বলেন, “আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি এখানে। প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলছেন, আমার কাছে এটাই উৎসব।”
জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডাকা হয়
জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডেকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে মেল করা হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ইমেল থেকে মেল করায় এবং মেলের ভাষা ‘অপমানজনক’ হওয়ায় 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র তরফে সেই ডাকে সাড়া দেওয়া হয়নি। রাজ্যের দাবি, বৈঠকের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্মবিরতি চলবেই
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। প্রতীকী শিরদাঁড়া হাতে লালবাজার অভিযানে যাওয়ার পর এবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানে তাঁদের হাতে দেখা গিয়েছে প্রতীকী মস্তিষ্ক, ঝাঁটা। করুণাময়ী থেকে শুরু হওয়া মিছিল স্বাস্থ্যভবনের কাছে চলে আসে। এর পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। জানিয়ে দেন, দাবি মানা না হলে এখানেই বসে থাকবেন।