সবাই তৃণমূল দল ছাড়বে
মমতার পরে কেউ দলে থাকবে না। সব দল ছেড়ে চলে যাবে। এমনই দাবি করে ফের হইচই ফেলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এ কথা বললেন কেন দিলীপ? তিনি কি কোনও ইঙ্গিত দিতে চাইলেন ? তা অবশ্য় আলাদা করে খোলসা করেননি তিনি।
তৃণমূল কীভাবে বিধানসভা চালায় প্রমাণিত
এদিন আরও একবার তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যসভায় তৃণমূল নেতাদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, তৃণমূল সাংসদরা প্রমাণ করে দিলেন বিধানসভাতে তাঁরা কীভাবে রাজ্য চালান। এটাই তাঁদের সংস্কৃতি। দাবি দিলীপের। দিলীপবাবু বলেন, বিজেপির সাংসদদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। যা তাঁরা উপস্থাপন করতেই পারেননি। তৃণমূল এবং বিরোধী সাংসদদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে তাদের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা আসলে কী!
সবাই কর্মচারী, মালিক মমতা-অভিষেক
এদিন তাঁর বক্তব্য়ের বেশিটাই তৃণমূলকে আক্রমণ করতে বেছে নিয়েছিলেন গেরুয়া সভাপতি। তিনি বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। যার মালিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরে লিডারশিপ বংশপরম্পরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যাবে। বাকিরা সবাই এখানে কাজ করেন। মমতার পরে দলটা থাকবে না। সবাই দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন বলেও দিলীপবাবু দাবি করেন। তিনি কি কিছু আভাষ পেয়েছেন ? তাঁর কোনও উত্তর তিনি দেননি। জিইয়ে রেখেছেন ধোঁয়াশা।
ভুয়া আইপিএস, আইপিএস এ ভর করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না
অন্যদিকে বিজেপি বিরোধী বা এনডিএ বিরোধী জোট নিয়ে দিলীপবাবু জানান, এর আগেও ২০১৯ সালে বিরোধীরা জোট করার চেষ্টা করেছিল। তাতে কোনও লাভ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত দু-তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন. কিন্তু সফল হননি। মানুষ তাকে গ্রহণ করেনি। তৃণমূল দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ভুয়ো আইএএস,ভুয়ো আইপিএস ব্যবহার করে ফেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
জ্যোতি বসু পারেননি, মমতাও পারবেন না
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য চালানোর পরিস্থিতিতে নেই। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছেন। দিলীপবাবু বললেন, পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসন রয়েছে। জ্যোতি বসু বিরোধীদলের মুখ হতে চেয়েছিলেন। সে সময় সিপিএম তা চেষ্টা করেছিল। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর মনে রাখা উচিত মানুষ তাকে পরাজিত করেছে। লোকসভায় তাঁদের আসন যেমন কমেছে, তেমনই বিধানসভাতে তিনি কিন্তু হেরে গিয়েছেন। এটা তাঁর মাথায় রেখে চলা উচিত।
মমতা টুরিজম এজেন্ট
অনেক দল রয়েছে, যাদের কোনও কাজ নেই। তারা এখন পলিটিক্যাল ট্যুরিজম পালন করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের এজেন্সি নিয়ে বসে আছেন।