সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের ভিতর এক প্রথম বর্ষের আইনের ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। আর তাতেই এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বাম-কংগ্রেস, BJP একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এর মাঝেই আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, 'নিরাপত্তা সবই রয়েছে। একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে তাহলে নিরাপত্তা কী করে দেবে? কলেজের ভিতরে যদি করে তাহলে সেখানে কী পুলিশ থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ থাকবে? নিরাপত্তা তো সহকর্মীরা দেবে। কিন্তু তারাই তো রেপ করছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকেও নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু, আগে কে দেবে? সহকর্মীরাই তো এটা করছে। প্রাক্তনরা কলেজে ঢুকলেও নিঃসন্দেহে কোনও লিঙ্ক আছে।'
এখানেই শেষ নয়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'কলেজ কর্তৃপক্ষ তো সরকার নয়। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে? এটা তো হয় না। আসলে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। ওটা আগে বদল দরকার। আসলে মহিলাদের পুরুষদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আইন দিয়ে পুলিশ দিয়ে তো হবে না। মানসিকতার পরিবর্তন চাই। ছাত্ররা যদি তাঁদের বন্ধুকে ধর্ষণ করে তাহলে তো তার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না।'
BJP নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণমূলক রাজনীতির কারণেই বাংলায় এ সমস্ত ঘটনা ঘটছে।'
এদিকে, কসবা ল'কলেজ গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীকে। শনিবার সকালে সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের সিকিউরিটি গার্ডকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি ছিল। ফার্স্ট ইয়ারের আইনের ছাত্রীকে নিরাপত্তারক্ষীর রুমেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কসবা কাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৪।