Advertisement

Kasba Case: পিকনিকেই ধর্ষণের টার্গেট ফিক্স করত মনোজিত্‍, 'দাদা'র যৌনসুখে ছাত্রী বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিল প্রমিত-জইব

বছরে দু'বার করে পিকনিকের আয়োজন করত ম্যাঙ্গো। দাদার নির্দেশে সেখানে টার্গেট হওয়া ছাত্রীদের নিয়ে যেত জইব ও প্রমিত। সেখানে চলত দেদার ফুর্তি। এরপর মদ্যপান করিয়ে ছাত্রীদের 'কম্প্রোমাইজ' করতে বাধ্য করত মনোজিৎ। সেই ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করত দুই শাগরেদ। তারপর সেই নিয়েই চলত ব্ল্যাকমেল।

মনোজিৎ মিশ্র মনোজিৎ মিশ্র
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Jul 2025,
  • अपडेटेड 9:55 AM IST
  • পিকনিকে নিয়ে গিয়ে মদ খাইয়ে ছাত্রীদের 'কম্প্রোমাইজ' করাত মনোজিৎ
  • সেই ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করত জইব ও প্রমিত
  • তারপর চলত ব্ল্যাকমেল করে যৌন নিগ্রহ

এটা প্রথমবার নয়, মহিলাদের উত্যক্ত করা, তাদের 'কম্প্রোমাইজ' করতে বাধ্য করিয়ে যৌন নিগ্রহ করা, ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করা, খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল মনোজিৎ মিশ্রর কাছে। সূত্রের খবর, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজনৈতিক কানেকশনের দাপট দেখিয়ে জুনিয়র ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা যেন রোজকার ব্যাপার হয়ে উঠেছিল তার কাছে। জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে কার্যত 'সিন্ডিকেট' চালাত মনোজিৎ ওরফে ম্যাঙ্গো।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জইব এবং প্রমিতের স্বীকারোক্তি ম্যাঙ্গো দাদার নির্দেশ পালনেই মহিলাদের অশালীন ভিডিও করা, সেগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পাঠানোর মতো কাজ করত তারা। বছরে দু'বার করে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করত ম্যাঙ্গো। সেই পিকনিকই ছিল তার 'শিকার' করার জায়গা। আগে থেকেই সে ছকে নিত প্রথম বর্ষের কোন ছাত্রীকে তার 'চাই'। দাদার নির্দেশ মতো সে ব্যবস্থা করত শাগরেদরা।

যাওয়ার সময়ে সেই 'টার্গেট'-কে দাদার পাশে বসানোর ব্যবস্থা করা থেকে, পিকনিক স্পটে গিয়ে নিরিবিলি জায়গা খুঁজে দেওয়া। কিংবা টার্গেট হওয়া সেই ছাত্রীর অশালীল ভিডিও রেকর্ড করার মতো কাজ পড়ত জইব এবং প্রমিতের কাঁধে। আকণ্ঠ মদ্যপান করে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করত মনোজিৎ। পিকনিক স্পটের সেই সমস্ত 'কুকীর্তি' দেখিয়েই তারপর ব্ল্যাকমেল করত ম্যাঙ্গো। ছাত্রীর বাড়িতে ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ার ভয়, কলেজে ফেল করিয়ে দেওয়ার আতঙ্ক কিংবা কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাধ্য করত 'কম্প্রোমাইজ' করতে। সেক্ষেত্রে কলেজের গার্ডরুমই ছিল তার ঠেক। সেখানেই নিয়ে যেত টার্গেট করা ছাত্রীদের। আর তারা বাধা দিলেই ধর্ষণ।

লোকলজ্জার ভয় কিংবা কেরিয়ার শেষ হওয়ার আতঙ্কে মনোজিতের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েও চুপ ছিলেন অনেকে। নির্যাতিতার পুলিশে অভিযোহ দায়েরের পর অনেকেই একে একে সাহস করে নিজেদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। কেউ কলেজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, কেউ বা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন মানসিক ট্রমা।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement