Advertisement

গণধর্ষণ তো ছিলই, আরও কত কী করেছে মনোজিত্‍‍রা? FIR-এ আরও ৬ ধারা

পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুর কোর্টে  FIR-এ নতুন ৬ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে। এই ঘটনায় মনোজিৎ ছাড়াও গ্রেফতার হওয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জইব আহমেদ এবং পিনাকীর বিরুদ্ধেও নতুন ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে।

manojit mishra manojit mishra
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 02 Jul 2025,
  • अपडेटेड 1:26 PM IST
  • কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও ৬ ধারা জুড়ল পুলিশ
  • কী কী সেই ধারা?

কসবার ল কলেজে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে FIR-এ আরও ৬ ধারা যুক্ত করল পুলিশ। তদন্তকারীদের তরফে করা প্রথম FIR-এ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে গণধর্ষণের ধারাও ছিল। তবে মঙ্গলবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আরও হাফডজন ধারা যুক্ত করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুর কোর্টে  FIR-এ নতুন ৬ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে। এই ঘটনায় মনোজিৎ ছাড়াও গ্রেফতার হওয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জইব আহমেদ এবং পিনাকীর বিরুদ্ধেও নতুন ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। 

কোন কোন ধারায় মামলা? 

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে সেগুলো হল- ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৭ নম্বর, ১১৮ (১), ৩৫১(৩), ১৪০(৩), ১৪০(৪) এবং ১৪২।

কোন ধারার কী অর্থ? 

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৭ নম্বর ধারা- কোনও মহিলার অজান্তে বা সম্মতি ছাড়া তাঁর ছবি  তোলা। অথবা সেই ছবি প্রচার করা। 
১১৮(১) নম্বর ধারা - কারও উপর বিনা প্ররোচনায় আঘাত করা।
৩৫১(১) নম্বর ধারা- অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন। 
১৪০(৩) নম্বর ধারা- অপহরণ।
১৪০(৪) নম্বর ধারা- কাউকে আঘাত বা নির্যাতনের জন্য অপহরণ। 
১৪২- অপহৃত ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে লুকিয়ে রাখা বা আটকে রাখা। 

নির্যাতিতা প্রথম অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় FIR রুজু করেছিল কসবা থানা। তখন গণধর্ষণ, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা ও একসঙ্গে অপরাধ সংঘটিত করার ধারা যোগ করা হয়েছিল। নতুন ৬ ধারা যুক্ত করায় এখন মোট ৯ ধারায় মামলা চলবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। 

পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র ও তার দুই সহযোগী প্রমিত এবং জইবকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৮ জুলাই পর্যন্ত তাদের হেফাজতে থাকতে হবে। আর এক অভিযুক্ত কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকীকে ৪ জুলাই পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় কোর্ট। 

Advertisement

এদিকে কলকাতা পুলিশের মঙ্গলবার একটি পোস্ট করা জানায়,  নির্যাতিতার নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই পোস্টে লালবাজারের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। 
 

Read more!
Advertisement
Advertisement