KIFF 2022: সারা জীবন কোভিড কোভিড করে কেটে গেলে হবে না। বাংলা সিনেমার জৌলুস বেড়েছে। যদি জৌলুসই না থাকত, তা হলে বাইরেরে ৪৭টি সিনেমা আসত। ১৬৩ সিনেমা দেখানো হবে। ১০টি সরকারি হল দেখানো হবে। সোমবার কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্য়ালের উদ্বোধনে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, শত্রুঘ্ন জিকে অনুরোধ করব, তিনি বলেছেন, আমি বাংলাকে ভালবাসি, বাংলরা জন্য থাকবেন। আপনি বলিউডে কথা বলতে পারেন। সেখানে অনেকে লগ্নি করতে পারেন সিনেমার জন্য। এখানে প্রতিভা রয়েছে।
লতা-সন্ধ্যা-বাপি-অভিষেক স্মরণ
এদিন তিনি বলেন, সিনেমা মানে শুধু অভিনয় নয়। গান দরকার, মাটি দরকার, টান দরকার, সভ্যতা দরকার। সভ্যতা গড়ে মানবিকতা। মমতা বলেন, জেতার পর আমাকে একটা ছোট মা কালীর লকেট পাঠিয়েছিলে। ভাইঝির হাত দিয়ে। ফোন আমার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। মান্না দে-কে কর্নাটকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার দিয়ে এসেছিলাম। লতাজির স্মরণীয় গানগুলো থাকবে।
এদিন মমতা বলেন, সন্ধ্যা দি মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করতেন। আমার কাছে আবদার করতেন গান শোনাও। তুমি আমায় বলছ, গান শোনাত। তাঁর শেষযাত্রার আগে অনেকেই জানতেন না, তিনি অসুস্থ। তিনি বলেন, বাপি দার সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে। মনটা খুব বড় ছিল। অভিষেক মারা গেল কিছুদিন আগে। দেখা হয়েছে তো। তাঁদের দেখতে পাব না ভাবলে গাটা শিউরে উঠে।
টেলিফিল্ম নিয়ে মমতা
তিনি বলেন, টেলিফিল্ম যেভাবে অর্থনীতিকে এগিয়ে দিচ্ছে, নানারকম সাংসারিক কাহিনি দেখে মানুষ খুশি হচ্ছেন। বাংলার সিনেমা পৃথিবীর সেরা। বাংলা সারা পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর শিকড়ের টান। বলিউডের টাকা রয়েছে, অনেকে লগ্নি করতে পারেন। বাংলায় সেটা নেই। খুব কম। তা সত্ত্বেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কাজ পান, ভবিষ্যৎ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইকোনকিম ওয়ার্লডের মধ্য়ে সংযুক্ত করতে হবে। শত্রুঘ্ন জিকে অনুরোধ করব, তিনি বলেছেন, আমি বাংলাকে ভালবাসি, বাংলরা জন্য থাকবেন। আপনি বলিউডে কথা বলতে পারেন। সেখানে অনেকে লগ্নি করতে পারেন সিনেমার জন্য। এখানে প্রতিভা রয়েছে।
বাংলা শুটিংয়ের আদর্শ জায়গা
রাজ্যের সিনেমা শুটিংয়ের অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে সমুদ্র, বন, পাহাড় রয়েছে। আমরা করতে পারব। বারুইপুরে টেলি অ্য়াকাডেমি গড়ে তুলেছি। সব রকম আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। টালিগঞ্জের রাধা স্টুডিও সংস্কার করে তুলেছি। পুরনো ছবির রিল সংরক্ষণের উদ্দেশে, দুষ্প্রাপ্য রিলের কাজ চলছে। পাশেই বাংলা সিনেমার ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য সিনে মিউজিয়াম গড়ে তুলছি।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবনের এবার থেকে ওখাবে রেগুলার ছবি দেখানো হবে। বাংলা সিনেমা, রিজিওনাল সিনেমা প্রায়োরিটি দেওয়ার জন্য সরকার ব্যবস্তা নিয়েছে। ৫ বছর টেকনিশিয়ান স্টুডিওর ফ্লোরের কোনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
মমতা বলেন, সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখায়। বাংলার চলচ্চিত্র আরও গুরুত্ব দিয়ে। পার্টনারশিপ প্রোপ্রাম করা যায় সারা বছর। বিজিবিএসে সিনেমার জগৎকে ডাকা হবে। এ বার ডাকা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বপ্ন সেরা বংলা, বিশ্ববাংলা। হৃদয়কে মুক্ত করে, পল্লবিত করে, কুসমিত করে, আলোকিত করে আমরা যেন আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারি। এটাই আমাদের মোটো। যাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে পাব না। তাঁদের সব কাজ আমরা যেন মনে রাখি।