Advertisement

Kolkata Airport Mosque: কলকাতা এয়ারপোর্টে রানওয়ে সংলগ্ন ওই মসজিদটির কী হবে? কেন্দ্র জানাল

এই প্রসঙ্গটি সদ্য রাজ্যসভায় তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বিমানমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, এই মসজিদের কারণে এখনও কি সেকেন্ডারি রানওয়ে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না? যদি তাই হয়, তবে বহু বছর ধরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও কেন তা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না?

কলকাতা বিমানবন্দর।-ফাইল ছবিকলকাতা বিমানবন্দর।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 03 Dec 2025,
  • अपडेटेड 12:05 PM IST
  • কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় বা সেকেন্ডারি রানওয়ের মুখে অবস্থিত মসজিদটি সরানো হবে কি না, সেই বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে।
  • বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজারহাটের দিক থেকে কোনও বিমানের জরুরি অবতরণে সমস্যা হলে মসজিদের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় বা সেকেন্ডারি রানওয়ের মুখে অবস্থিত মসজিদটি সরানো হবে কি না, সেই বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজারহাটের দিক থেকে কোনও বিমানের জরুরি অবতরণে সমস্যা হলে মসজিদের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এতে যাত্রী নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠছে,  অল্প ক'য়েকজনের ধর্মীয় প্রয়োজনে কেন লক্ষাধিক যাত্রীর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে?

এই প্রসঙ্গটি সদ্য রাজ্যসভায় তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বিমানমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, এই মসজিদের কারণে এখনও কি সেকেন্ডারি রানওয়ে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না? যদি তাই হয়, তবে বহু বছর ধরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও কেন তা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না? কিন্তু বিমানমন্ত্রীর জবাবে কারণ জানা যায়নি। ফলে অসন্তুষ্ট শমীক ভট্টাচার্য জানান, 'এই উত্তরে আমি সন্তুষ্ট নই।'

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ১৯২৪ সালে বিমানবন্দর তৈরির সময় জমি অধিগ্রহণের ফলে ওই মসজিদটি সেখানেই রয়ে যায়। প্রথমে রানওয়ে ছিল ছোট। পরে ধাপে ধাপে সম্প্রসারণের সময় দেখা যায়, নতুন সেকেন্ডারি রানওয়ের মুখের দিকেই রয়েছে মসজিদটি। নব্বইয়ের দশক থেকে সরানোর আলোচনা চললেও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ হয়নি।

২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পরে বিশ্বের প্রতিটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি বাড়ে। তখনও কলকাতা বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে মসজিদ সরানোর প্রসঙ্গ জোরালো হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। এখনও প্রতিদিন এলাকার ৫০-৬০ বাসিন্দা বিশেষ নিরাপত্তা প্রক্রিয়া মেনে বিমানবন্দরের সুরক্ষিত এলাকায় ঢুকে প্রার্থনা করতে যান। অভিযোগ, মসজিদটির কারণে সেকেন্ডারি রানওয়ের এক পাশে আইএলএস বসানো যাচ্ছে না, রানওয়ে বাড়াতেও বাধা তৈরি হচ্ছে। 

অভিযোগ, মসজিদটি থাকার ফলে সমস্যা
১) বসানো যাচ্ছে না আইএলএস
২) বাড়ানো যাচ্ছে না রানওয়ে
৩) রাজারহাট দিক থেকে নামার সময় বিমানের ধাক্কা লাগার ঝুঁকি
৪) নিরাপত্তা মানদণ্ডে ছাড়
৫) রানওয়ের শেষ থেকে ২৫০ মিটার খালি জায়গার নিয়ম মানা হয়নি

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement