কালীপুজোর পর কেটে গিয়েছে একদিন। তবে বুধবারও 'খারাপ' কলকাতার বায়ু। একই ছবি গঙ্গার ওপারের শহর হাওড়ার। এমনটাই জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।
কলকাতার যাদবপুরে সকাল ৯টায় বায়ুর মানের সূচক বা Air Quality Index (AQI) ছিল ২০০ (PM 2.5)। শুধু তাই নয়, একই সময় বালিগঞ্জের AQI ছিল ১৪১ বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক আধিকারিক।
ও দিকে সিঁথি এলাকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে AQI ছিল ১৪২। এছাড়া রাজারহাট নিউটাউনের বায়ুর মানও ছিল খুবই খারাপ। এখানে ১৬৫ AQI ছিল বলেই খবর।
তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল ভিক্টোরিয়ার। সেখানে AQI ২৪২-এ ছিল সকাল ৯টায়। এছাড়া ফোর্ট উইলিয়ামেও মোটামুটি ১৫০ AQI ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি।
শহরের অন্যতম পরিচিত স্থান রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতেও বায়ুর মান ছিল খারাপ। এখানে সকাল ৯টা নাগাদ AQI ছিল ১২৮। আর এটি শরীরের জন্য খুবই খারাপ।
মঙ্গলবার কী ছিল পরিস্থিতি?
মঙ্গলবার অর্থাৎ কালীপুজোর পরের দিন যাদবপুরের AQI পৌঁছে গিয়েছিল ২০৭-এ। এছাড়া বালিগঞ্জে AQI ছিল ২১৩। আর এই দুই পরিসংখ্যানই সোমবারের থেকে অনেকটা বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
হাওড়ার কী অবস্থা?
ও দিকে হাওড়ার বেলুড়ে মঙ্গলবার রাতে AQI ছিল ২১৩। শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন অঞ্চলে AQI পৌঁছে যায় ১৯৫-তে।
এছাড়া ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অঞ্জল ঘুসুড়িতে সকাল ৯টায় AQI ছিল ১৭৯। আর এই সব পরিসংখ্যানই বর্তমানে বায়ুর মানের বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
AQI নিয়ে দুই-চার কথা
AQI ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে খারাপ বলে ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে খুব খারাপ। আবার ৩০০-এর উপর AQI চলে গেলে সিভিয়র বা অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।
কেন এতটা খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি?
পরিবেশবিদদের মতে, দীপাবলি এবং তারপরের দিন খুবই বাজি ফেটেছে। সেই কারণেই এই দুই জায়গার বায়ুর মান এতটা খারাপ দিকে গিয়েছে। মানুষের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিপদে পড়ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো।
তবে সরাসরি বাজিকে দোষ দিতে নারাজ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে কর্মরত সেই সরকারি আধিকারিক। তাঁর মতে, শুধু বাজির জন্য কিন্তু এতটা খারাপ হয়নি পরিস্থিতি। আর এ বছর গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি ভালো ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।