Advertisement

ক্যান্সারে কেউ পাশে নেই, আত্মহত্যার আগে বাঁশদ্রোণীর দম্পতি লিখলেন...

ক্যান্সারে (Cancer) ভুগছিলেন হৃষীকেশ। তাঁকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও হার মানতে হয় রিয়াকে। সর্বস্বান্ত হয়ে যান তাঁরা। এদিকে রিয়ার বাপের বাড়ির দরজাও বন্ধ হয়েছে গিয়েছে চিরতরে। ক্যান্সার-আক্রান্ত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ার বাপের বাড়ির সদস্যরা।

হৃষীকেশ ও রিয়া
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Jun 2022,
  • अपडेटेड 9:30 AM IST
  • ইমেল করে আত্মহত্যা
  • কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ঘটনা
  • বন্ধুকে দিয়ে গেলেন শেষ সম্বল

পুলিশের কাছে ইমেল করে আত্মঘাতী যুগল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে। আত্মঘাতী যুগলের নাম হৃষীকেশ ও রিয়া। এই ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে গিয়েছে এলাকায়। হতবাক পুলিশও। 

জানে গিয়েছে, ক্যান্সারে (Cancer) ভুগছিলেন হৃষীকেশ। তাঁকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও হার মানতে হয় রিয়াকে। সর্বস্বান্ত হয়ে যান তাঁরা। এদিকে রিয়ার বাপের বাড়ির দরজাও বন্ধ হয়েছে গিয়েছে চিরতরে। ক্যান্সার-আক্রান্ত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ার বাপের বাড়ির সদস্যরা। লাগাতার চিকিৎসা করাতে করাতে একসময়ে শেষ হয়ে আসে সমস্ত পুঁজি। কিন্তু শরীরে ক্যান্সারের মারণ থাবা বাড়তেই থাকে। মারণ রোগের কাছে কাছে কার্যত পরাজিত হতেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তাঁরা।

একসঙ্গে আত্মহত্যা করেন বাঁশদ্রোণীর এই লিভ-ইন কাপল। পুলিশি তদন্তে এমনই তথ্য সামনে আসছে। আত্মহত্যার আগে থানায় ইমেল করে হৃষীকেশ-রিয়া নিজেরাই তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু মেল পেয়ে পুলিশ পৌঁছতে পৌঁছতে সব শেষ। তারমধ্যেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আর্থিক অনটনের জেরেই এই ঘটনা। 

সুইসাইড নোট অনুযায়ী ময়নাতদন্তের পর হৃষীকেশ-রিয়ার দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁদের বন্ধু তাপস দাসের হাতে। যুগলের শেষ সম্বলও তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতেই। সেই অর্থ দিয়ে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করবেন বলেই জানিয়েছেন তাপসবাবু। 

আরও পড়ুনসরকারি ব্যাঙ্কে প্রচুর নিয়োগ, আবেদনের তারিখ-যোগ্যতা বিস্তারিত

আরও পড়ুনএকই বোতলে ১০০ রকম পারফিউম! স্মার্টফোনেই কন্ট্রোল, দাম কত?


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement