Advertisement

Kolkata Bus Routes: নয়া মেট্রোর জেরে বন্ধ হবে শহরের একাধিক বাস রুট? যা বললেন পরিবহণমন্ত্রী

হাওড়া, শিয়ালদা, সল্টলেক মেট্রো পথে যুক্ত হওয়ায় নিত্যযাত্রীরা হাতে স্বর্গ পেয়েছেন। কিন্তু উল্টোদিকে ঝার খাচ্ছে একাধিক বাস। বিভিন্ন রুটে সংখ্যা কমছে যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে কি একাধিক রুটে বাস বন্ধ হয়ে যাবে? কী জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী?

কলকাতায় বাস রুট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ কলকাতায় বাস রুট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 27 Aug 2025,
  • अपडेटेड 4:27 PM IST
  • নয়া মেট্রোর জেরে হাওড়া-শিয়ালদা সহ একাধিক রুটে বাস যাত্রী কমেছে
  • নিত্যযাত্রীরা সহজ ও আরামদায়ক জার্নি হিসেবে মেট্রোকেই বেছে নিচ্ছেন
  • বন্ধ হয়ে যাবে একাধিক বেসরকারি বাস রুট?

শহরে চালু হয়েছে নয়া ৩ মেট্রো রুট। হাওড়ার সঙ্গে জুড়েছে শিয়ালদা, সেক্টর ফাইভ। আবার বিমানবন্দরের সঙ্গে জুড়েছে নোয়াপাড়া। রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্তও শুরু হয়েছে মেট্রো চলাচল। আর তাতে অসংখ্য নিত্যযাত্রী যেন হাতে স্বর্গ পেয়েছেন। এই রুটগুলিতে নিত্য যাতায়াতকারীদের আর ট্রাফিকের ঝক্কি পোয়াতে হচ্ছে না। টুক করে মেট্রোয় চেপে, আরামদায়ক জার্নি করে পৌঁছে যেতে পারছেন গন্তব্যে। কিন্তু কথায় আছে না, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ। ঠিক তেমনটাই হচ্ছে বাস মালিকদের। হাওড়া, শিয়ালদা, বিমানবন্দর কিংবা সল্টলেকের রুটে বাসের যাত্রী কমে গিয়েছে রাতারাতি। এর জেরে কি এবার একাধিক বাস রুট বন্ধ করে দেওয়া হবে? জবাব দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। 

কোন কোন রুটগুলি প্রাভাবিত
হাওড়া থেকে শিয়ালদা এবং সল্টলেকের দিকে যায় ২৮ এবং ৭১ নম্বর রুটের বাস। আবার বাগুইআটি থেকে হাওয়া যায় ৪৪ নম্বর বাস। এই রুটগুলি প্রতিদিনই লোকসানের মুখ দেখছে। প্রতি ট্রিপেই যাত্রীর সংখ্যা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই কম গিয়েছে বলে মত বাস চালকদের। দিনের শেষে সমস্ত ট্রিপ করেও ৫০ থেকে ১০০ জন যাত্রী কম মিলেছে প্রতিটি বাসের। সল্টলেক থেকে হাওড়াগামী ২১৫ এ রুটের বাসেও যাত্রী সংখ্যা রাতারাতি কমেছে বলে খবর। ফলে বেশ উদ্বিগ্ন বাস মালিকরা। রুট পরিবর্তন করে কি বাস চালানো হতে পারে? 

কী বলছেন পরিবহণমন্ত্রী?
সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাবে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'আগে কখনও মেট্রো ছিল না। আজ ৬-৮ লক্ষ মানুষ মেট্রো চলেন। অটো, বাইক ট্যাক্সির জন্যও যে বাস একটা সময়ে ১০০ যাত্রী পেত, সে আজ তার ৬০ শতাংশ যাত্রী হারিয়েছে। মানুষ রুচি, পছন্দ অনুযায়ী অন্য যানবাহনের দিকে ঝুঁকেছে। আমরা তো কাউকে বলতে পারি না, আপনারা মেট্রোতে উঠবেন না বাসে উঠুন।' তাঁর সংযোজন, 'বিপুল সংখ্যক যাত্রী হারানোয় অনেক বাস জ্বালানির খরচ তুলতে পারছে না। ইতিমধ্যেই অনেক বেসরকারি বাস রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা সাবসিডি দিয়ে বাস চালানোর পরিকল্পনা করতে পারি কিন্তু আমাদের ক্ষমতাও সীমিত। কিছু কিছু রুটে এই সমস্যা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও নজর করেছেন বেসরকারি বাসের অনেক রুট বসে গিয়েছে। ফলে সরকারি বাস বাড়ানো হয়েছে। ড্রাইভার-কন্ডাক্টর নিয়োগ এবং বাস কেনার অনুমোদনও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। ফলে মানুষ যাতে বাস পরিষেবা পায় আমরা সে চেষ্টা করছি।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement