শহরে ফের বেপরোয়া গতির দৌরাত্ম্য। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশকর্মীদের ধাক্কা গাড়ির। ক্যামাক স্ট্রিট ও মিডিলটন রোডের ক্রসিংয়ে গাড়ি আটকাতে গেলে চার পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। এই ঘটনায় পালানোর সময় দুই থেকে তিনজন পথচারী আহত হন। পুলিশ কর্মীদের মধ্যে তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গাড়ির ধাক্কায় আহত একজন হোমগার্ড ও দুই সার্জেন্ট।
বরদান মার্কেটের সামনে পরবর্তী নাকা চেকিং পয়েন্টে গাড়ি ফের আটকানোর চেষ্টা করেন ১ সার্জেন্ট এবং এক ট্রাফিক হোমগার্ড। দুজনকেই ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর কন্ট্রোল থেকে খবর পেয়ে সিগন্যাল কন্ট্রোল বিভাগ ক্যামাক স্ট্রিট এবং থিয়েটার রোডের সিগন্যাল লাল করে দেয়। সামনে সিগন্যালে অন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় বেগতিক দেখে গাড়িটি প্রথমে ফুটপাথে উঠে বাকি গাড়িকে ওভারটেক করে। তারপর বিপরীত দিকের লেনে চলে আসে। ফুটপাথে ওঠার পর ৩ পথচারীকে ধাক্কা মারে। তারপর ফুটপাথের ধারের লোহার রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। কিছু গাড়িকেও ধাক্কা মারে। এরপর একটি অফিস বিল্ডিংয়ে ঢুকে গাড়িটি আটকে যায়। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়ির চালককে মারধর করে।
শেক্সপিয়র সরণি থানায় ট্রাফিকের অভিযোগ ইতিমধ্যে গাড়ির চালক ধৃত। ভিনরাজ্যের একটি ক্যাব সংস্থায় ভাড়া খাটে গাড়িটি বলে খবর পুলিস সূত্রে। জানা যাচ্ছে, পুলিশ চালককে এবং চালকের পাশের আসনে বসে থাকা সওয়ারিকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের আটক করে থানা। আহত পুলিশকর্মী ও পথচারীদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনায় গাড়ি ও চালকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতলেচিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন হোমগার্ড ও দুজন সার্জেন্ট রয়েছে। শেক্সপিয়ার সরণি াড়িটিতে তেলেঙ্গানার নম্বরপ্লেট রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত্রিবেলা ওই এলাকায় নাকা চেকিং করছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। একটি গাড়ি আটকাতে যান তাঁরা। অভিযোগ, চার পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই গাড়িটি। দ্রুত গতিতে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বরদান মার্কেটের সামনের ফুটপাতে গাড়ি তুলে দেন চালক। সেই সময় ফুটপাতে তিনজন পথচারী ছিলেন। তাঁরা পড়ে গিয়ে আহত হন। আরও একটি বাইক থেকে এক চালক পড়ে যান।