
ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের দিন প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ব্যাঙ্কশাল আদালত তিন ধৃতকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয়।
জামিনে মুক্তি পেয়ে উলটো অভিযোগ তোলেন ধৃতরা। তাঁদের দাবি, প্যাটিস বিক্রেতা আমিষ প্যাটিসকে নিরামিষ বলে বিক্রি করছিলেন। সেই অভিযোগে তাঁরা ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্যাটিস বিক্রি নিয়ে প্রথমে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, নিরামিষের নামে আমিষ বিক্রি করা হচ্ছে শুনে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হন। সেই উত্তেজনা থেকেই ঝগড়া এবং হাতাহাতি হয়।
তবে সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্রেতাকে হেনস্তা করা হয়েছিল। আর এই অভিযোগ জামিন অযোগ্য। তাই তিন অভিযুক্তকে জামিন না দেওয়াই উচিত ছিল। শেষ পর্যন্ত আদালত তিন জনকেই জামিনে মুক্তি দেয়।