পুরভোটে বাহিনী চাই। প্রথম থেকেই এই দাবিতে এখনও অনড় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সায় নেই কমিশনের। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে কলকাতা পুরভোট পর্ব মেটাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ২৩ হাজার পুলিশ লাগবে। কিন্তু কমিশনের এই দাবি কিছুতেই মানতে চাইছে না বিজেপি। অন্যদিকে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে আবার পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে কার্যত দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা বুধবার এ বিষয়ে বলেন, আমরা আধা সামরিক বাহিনী এবং ভিভিপ্যাডের জন্য আদালতরে দ্বারস্থ হচ্ছি। সেই সঙ্গে বিজেপি ২রা মের নির্বাচনী পরবর্তী সন্ত্রাস যা স্বাধীনতা পরে ভারতের সবচেয়ে সংগঠিত সন্ত্রাস বলে মনে করি। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে প্রমাণিত। আমাদের ২০-২৫ জন মহিলা প্রার্থীকে সরিয়ে রাখতে হয়েছে। কলকাতার এই অবস্থা হলে অনুমান করা যায়, বাকি জেলাগুলোর কী হাল। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ হতে চলেছে কলকাতা পুরভোট। মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ১৯ তারিখ পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ভোটগনণা হবে খুব সম্ভবত ২১ তারিখ। মোট বুথ ৪,৭৪২টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০ লাখ। কলকাতা পুরভোট হবে ইভিএমে।
যদিও পুরভোটের পর্ব শুরু থেকেই বিজেপি বনাম তৃণমূলের সংঘাত তীব্র হচ্ছিল। রাজ্য সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথমে কলকাতায় পুরভোটের প্রস্তাব দেয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই প্রস্তাবে সায়ও দেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয় বিজেপি। এবার বাহিনী ইস্যুতে শুরু হয়েছে নয়া সংঘাত। যদিও এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করাতে চায় নির্বাচন কমিশন। ফলে জল এখন কোন দিকে এগোয় সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল