কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ। মুক্তিপণ দাবি করে বাড়িতে ফোন। তবে লালবাজারের অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াড ও তিলজলা থানার যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় সেই ব্যবসায়ীকে। পুলিশ তদন্তে নেমে মুকুন্দপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে। গ্রেফতার করা হয় অপহরণে অভিযুক্ত ৪ জনকে। তিলজলার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর নাম মহম্মদ ইরফান। পুলিশ সূত্রে খবর, তিলজলার ওই ব্যবসায়ী নরেন্দ্রপুর এলাকায় একটি কল সেন্টার চালাতেন। কিছুদিন আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কল সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ, তিলজলার ওই ব্যবসায়ী একজনের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা কিছুতেই শোধ করেছিলেন না। অভিযোগ, এরপরেই ওই ব্যক্তি টাকা আদায়ের জন্য ওই ইরফানকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ। এরপরই কয়েকজনের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ২১ জুন সন্ধেয় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।
শহরের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। গোয়েন্দা বিভাগ এবং তিলজলা থানার অ্যান্টি রাউডি বিভাগের একটি বিশেষ অভিযানে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
কলকাতার বাসিন্দা ইরফান ২১ জুন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু পরদিন সকাল হয়ে গেলেও তিনি আর ফেরেননি। পুলিশ সূত্র বলছে, ২২শে জুন বিকেলে তাঁর বাবা তিলজলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অজানা নম্বর থেকে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ইরফানকে মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেটের কাছে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এবং তাঁকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর শহরের কসবা, নরেন্দ্রপুরের মতো বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আরও সহযোগীরাও এতে যোগ দিয়েছিল এবং তাঁর বাবার কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুকুন্দপুরের হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই হোটেল থেকে ইরফানকে উদ্ধার করা হয়। কলকাতা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম, গৌরিক মুখার্জি ওরফে ডেভিড এবং বিবেক নামের প্রধান। তাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে সোমবার আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল, আশুতোষ রায়, সুরজ কুমার সিং, রোহিত রায়, মহম্মদ আলকামা, আমন কুমার গুপ্ত, কুন্দন শ্রীবাস্তব। ধৃতদের সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।