কসবা গণধর্ষণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মদনের দাবি, মেয়েটি যদি কাউকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য়ে এমনিতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর মদনের এই মন্তব্যে তাতে ঘি যোগ করল। শাসকদলের দুই নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের মধ্যে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তের নাম মনোজিৎ মিশ্র। সেই ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমানে ওই কলেজে অস্থায়ী চাকরি করছিল। শুধু তাই সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাও। শনিবার কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কসবার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নে মদন মিত্র বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। দুনিয়ার সবচেয়ে নোংরা কাজ এটাই। কিন্তু কসবার এই ঘটনায় মেয়েদের, পড়ুয়াদের কাছে একটা মেসেজে এসে গিয়েছে। যদি আপনার কোনও পরিচিত কলেজ বন্ধ থাকায় এবং পরীক্ষা চলাকালীন তোমাদের ফোন করে বলে যে তারা একটি ইউনিট প্রজেক্টে সাহায্য করবে, তাহলে যেও না। এতে ভাল হবে না। ওই মেয়েটি যদি না যেতেন তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। যদি যাওয়ার যদি মেয়েটি কাউকে জানিয়ে যেতেন, দুই বান্ধবীকে নিয়ে যেতেন। তাহলেও এই ঘটনা ঘটত না। ছেলেটি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে, ,সেটাই দেখছি আমরা।'
একই ঘটনায় অন্য একটি জায়গায় মদন বলেন,'আইন আছে, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তার বিচার হবে। আমরা কখনও কোনও অভিযুক্তকে আড়াল করতে চাই না। কিন্তু, আমাদের সংবিধান বলে দোষী ছাড়া পেয়ে যাক আপত্তি নেই। কিন্তু নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। তদন্তের পরে, পুলিশের রিপোর্টের পরে আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেটাই আমরা মেনে নেব। দোষী যারা তারা যেন অবশ্যই শাস্তি পায়। কোথাও লেখা নেই যে কেউ কারও ঘনিষ্ঠ হলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা যাবে না। দেখতে হবে কেউ দোষী কি না। যদি দোষী না হয় তাহলে হাইপ আর মিডিয়া প্রচারের কারণে তাকে যেন দোষী না বলা হয়।'