রাত ১১টার পর থেকেই ব্যাপক দুর্যোগ শুরু করতে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ইতিমধ্যেই সাগরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নেমেছে। তৈরি কলকাতা পুরসভাও। জরুরি পরিস্থিতিতে রবিবার পুরকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিন সন্ধেয় পুরসভায় বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সবাইকে পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠক শেষে বলেন, 'আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি। এই ঝড় কলকাতায় ছুঁয়ে যাবে । আবহাওয়া অফিস এর সঙ্গে এখন যা কথা হয়েছে, তাতে ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে যাবে ঝড়। সব বিভাগের ডিজির সঙ্গে আমি মিটিং করেছি এই দুর্যোগ নিয়ে।'
কী ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা?
ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'আমরা আমাদের ১৩ হাজার স্থায়ী কর্মী আর ৩৩৮ জন ড্রেনেজ এর লেবার রয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার কর্মী রাস্তায় নামিয়েছি এই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য । রাত দুটোর আগে থেকে আমরা গঙ্গায় জল ফেলতে পারব না তাই লকগেট বন্ধ করে দিতে হবে। প্রায় ৪৮০টি পাম্প তৈরি রয়েছে। তবে চার পাঁচ ঘণ্টা জল থাকবে। আমরা ম্যাজিশিয়ান নই। দিনরাত পরিশ্রম করছে সকলে। কলকাতার অবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা ঠিক করার চেষ্টা করবো।'
এছাড়াও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ বলেন, 'জেসিবি ৭টি এছাড়া ক্রেন রাস্তায় নামানো আছে। বড়ো ক্রেন রাস্তায় রাখা রয়েছে বড় গাছ পড়লে সেগুলো দ্রুত সরানোর জন্য। আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেমন, চেতলা, পার্ক স্ট্রীট সাদার্ন এভিনিউ, এসব জায়গায় রাখা হয়েছে।'
এছাড়াও ২২টি প্যাম্প সর্বদা চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর ৪ বা ৫ ঘণ্টা লাগবে কলকাতা থেকে জল সরাতে। মেয়রের কথায়, 'আমরা আছি সকলেই রাতে কলকাতা পুরসভায়। আমরা টিম কলকাতা পুরসভা প্রস্তুত রয়েছি এই বিপর্যয় মোকাবিলায়। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় খোঁজ নিচ্ছেন খবর নিচ্ছেন। আদর্শ হিন্দু বিদ্যালয়ে লোক সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিপদজ্জনক বাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের জন্য । জীবনকে বিপদে ফেলবেন না । সকল বোরো মিলিয়ে অনেকগুলো ক্যাম্প রয়েছে টেম্পোরারি। প্রত্যেক বোরো তে ২টি করে স্কুল নেওয়া হয়েছে মানুষ রাখার জন্য।'