Advertisement

Kasba Case Update: ল'কলেজ গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার নিরাপত্তারক্ষী, গার্ডরুমেই নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ 

কলকাতার কসবায় ল'কলেজের গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ওই কলেজেরই সিকিউরিটি গার্ডকে। তাঁর রুমেই নৃশংস অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে ফার্স্ট ইয়ারের এক আইনের ছাত্রীকে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 28 Jun 2025,
  • अपडेटेड 12:03 PM IST
  • কসবাকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতারি
  • গ্রেফতার কসবা ল'কলেজের নিরাপত্তারক্ষী
  • সিকিউরিটি গার্ডের রুমেই নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ

 

কসবা ল'কলেজ গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল নিরাপত্তারক্ষীকে। শনিবার সকালে সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের সিকিউরিটি গার্ডকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি ছিল। ফার্স্ট ইয়ারের আইনের ছাত্রীকে নিরাপত্তারক্ষীর রুমেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কসবা কাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৪। এর আগে মূল অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারা হল মনোজিৎ মিশ্র (প্রাক্তনী তথা বর্তমান চুক্তিভিত্তিক কর্মী), জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায় (বর্তমান ছাত্র)। 

পুলিশি বয়ানে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর ঘরেই গত ২৫ জুন সন্ধ্যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই নিরাপত্তারক্ষী সে সময়ে কোথায় ছিলেন? তাঁকে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে তিনি বেরিয়ে গেলেন কেন, কেন গোটা ঘটনা সম্পর্কে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কিছু জানালেন না, কীভাবে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে তাঁর ভূমিকা কী ছিল, এই সমস্ত কিছুই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে 'জে', ‘এম’ এবং ‘পি’ নামে ৩ জনকে চিহ্নিত করেছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভিতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।  কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে তিনি সাহায্য চেয়েও পাননি। তাঁর বয়ানের উপর ভিত্তি করেই গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীকে।  

নির্যাতিতা তাঁর উপর হওয়া নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও জানিয়েছেন, ২টো ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল তাঁর। সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মেডিক্যাল রিপোর্টে নির্যাতিতার উপর হওয়া অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। গলায় কামড়ের দাগ, নখের খিমচানোর দাগ রয়েছে গোটা শরীরে। বলপূর্বক যৌন হেনস্থারও প্রমাণ মিলেছে রিপোর্টে।  

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement