দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে আগামী মাসে। আর বাস-অটোর ভরসা নয়, এবার সোজাসুজি নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পৌঁছনো যাবে মেট্রোয় চড়ে। মেট্রো সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ, সেই অনুযায়ী এয়ারপোর্ট মেট্রো স্টেশন তথা জয় হিন্দ স্টেশনে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন রেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্যের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
মে মাসেই ছুটবে এয়ারপোর্ট মেট্রো
ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল কুমার যাদব ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার শীর্ষেন্দু গিরির উপস্থিতিতে চলে পর্যালোচনা। পরে নির্মাণাধীন স্টেশন পরিদর্শন করে সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানান, মে মাসের মধ্যেই বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কিন্তু বারাসত পৌঁছাতে এখনও বাকি বহু পথ
তবে এই আনন্দের মাঝেও রয়েছে বড় দুশ্চিন্তা—দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ, অর্থাৎ নিউ ব্যারাকপুর হয়ে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ, এখনও থমকে জমি জটে। মেট্রো সূত্রে খবর, যশোর রোড, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম এবং বারাসতের জন্য প্রয়োজনীয় জমি এখনও অধিগ্রহণ করা যায়নি। ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য বারবার ধাক্কা খাচ্ছে।
রাজনৈতিক আশ্বাস বনাম বাস্তবের জটিলতা
শমীক ভট্টাচার্য আশাপ্রকাশ করেন, রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথভাবে চেষ্টা করলে খুব শীঘ্রই বারাসত পর্যন্ত মেট্রো চালু হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো চালু হতে পারে মে মাসেই
বারাসত পর্যন্ত সম্প্রসারণ আটকে জমি সমস্যায়
বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, যশোর রোড—এখনও অধিগ্রহণ বাকি ২০২৬ সালের ডেডলাইন এখন অনিশ্চয়তার মুখে। এই মুহূর্তে যাঁরা বিমানবন্দর যাতায়াতে বাস বা ট্যাক্সির উপর নির্ভর করেন, তাঁদের জন্য মেট্রো পরিষেবা নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। তবে বারাসতের যাত্রীরা কবে সেই স্বস্তি পাবেন, তা নির্ভর করছে প্রশাসনিক সদিচ্ছা ও জমি সমস্যা সমাধানের ওপর।