শহরের বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের (Kolkata Metro Station) নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের (bimanbandar metro station) কাছে খ্রিস্টান কবরস্থানের নীচে জোড়া টানেলের নির্মাণ কাজ একটি কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু খ্রিস্টান কবরস্থান বোর্ডের সহযোগিতায় তা সফলভাবে শেষ হয়েছে বলে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অত্যন্ত ব্যস্ত ভিআইপি রোড এবং এয়ারপোর্ট এন্ট্রি রোডের অধীনে ভূগর্ভস্থ মেট্রো টানেলের নির্মাণ কাজও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় মেইল প্রসেসিং সেন্টার (এয়ারপোর্ট পোস্ট এবং টেলিগ্রাফ অফিস) সংলগ্ন অ্যাপ্রোচ টানেলটি ভারতের পোস্ট বিভাগের সহযোগিতায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য বিমানবন্দরের গেট নং-১ থেকে ডিপার্চার টার্মিনাল ফ্লাইওভার, আবহাওয়া ভবন ও বিমানবন্দর ইয়ার্ড পর্যন্ত পাথওয়ে ও বেড়া সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে।
G-20 শীর্ষ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে, অ্যাপ্রোচ টানেলের উপরে প্রায় ১৫০০ বর্গমিটার (১.৫ লক্ষ বর্গফুট) ল্যান্ডস্কেপিং এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোর এক আধিকারির জানিয়েছেন, বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজে সব বাধা অতিক্রম করা হয়েছে। ডাক বিভাগের কাছেও মেট্রো কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞ।
নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো বা হলুদ করিডরের অংশ হতে চলেছে বিমানবন্দর স্টেশন। দেশ-বিদেশের যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই এবার থেকে মেট্রো চাপতে পারবেন। সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন, ‘সিটি অফ জয়’-এর যে কোনও প্রান্তে। এতে তাঁদের সময়, অর্থ যেমন বাঁচবে। তেমনই যাত্রাও সুখকর হবে। বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশন শহর কলকাতার প্রবেশদ্বার হতে চলেছে। এই মেট্রো স্টেশন চলতি বছরের ডিসেম্বর বা সামনের বছরের প্রথমদিকে চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-Kolkata metro news: কলকাতার বিমানবন্দর মেট্রোয় বাড়তি সুবিধে যাত্রীদের, যা অন্য কোনও স্টেশনে নেই