কলকাতা মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে হলুদ রেখা পেরোলে ২৫০ টাকা জরিমানার নিয়ম চালু হয়েছে ১ জুন থেকে। সোমবার ১৫ দিন পার হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে কতজন যাত্রী এই 'লক্ষ্মণরেখা' পার করে জরিমানার মুখে পড়েছেন, তার সঠিক হিসেব নেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছেই।
কলকাতা মেট্রোর এক জনসংযোগ আধিকারিক সোমবার ‘বাংলা ডট আজতক ডট ইন’-কে বলেন, 'হলুদ লাইন পেরোলেই ২৫০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কতজন যাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে, বা কত টাকা আদায় হয়েছে, সে হিসেব নেই।'
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকার সময় প্রায়শই দেখা যায়, যাত্রীরা আগে উঠতে মরিয়া হয়ে হলুদ রেখা পেরিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন লাইনের ধারে। অতীতে একাধিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। কিন্তু আজ, সোমবারও বিভিন্ন স্টেশনে দেখা গেল, নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হলুদ লাইন টপকে দাঁড়িয়ে বহু যাত্রী। নেই কোনও নজরদারি। যা নিয়মের কার্যকারিতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নিত্যযাত্রীদের একাংশের মতে, কেবল নিয়ম জারি করলেই হবে না, প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত নজরদারির ব্যবস্থাও প্রয়োজন। অধিকাংশ স্টেশনে আরপিএফ কর্মীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অনেক সময় তাঁরা থাকলেও চোখ থাকে মোবাইল স্ক্রিনে। ফলে নিয়ম ভেঙে হলুদ রেখা পেরোনো যাত্রীদের আটকানোর কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন ঢোকার ঠিক আগেই অনেক যাত্রী নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই প্ল্যাটফর্মের ধারে হলুদ লাইন পেরিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
এখন প্রশ্ন উঠছে—যদি নিয়ম কার্যকর না হয়, এবং কতজন তা অমান্য করছেন, সেই পরিসংখ্যানই যদি কর্তৃপক্ষের কাছে না থাকে, তাহলে এই প্রচেষ্টা কতটা সফল? অন্তত ১৫ দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধুমাত্র নিয়ম জারি করলেই চলবে না, সেই নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তবেই প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।