শনিবার দুপুরে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ব্যহত মেট্রো পরিষেবা। শনিবার দুপুর প্রায় সাড়ে ৩টে থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ময়দান থেকে কবি সুভাষ মেট্রো চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আপাতত ময়দান থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলছে।
জানা যাচ্ছে, যতীন দাস পার্ক ও নেতাজি ভবনের মাঝে টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই আপাতত সমস্যা হচ্ছে মেট্রো চলাচলে। টালিগঞ্জ থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিসে টাইমে পরিষেবা ধাক্কা খাওয়ায় সমস্যায় যাত্রীরা।
শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সমস্যা দেখা যায়। তবে সেই যান্ত্রিক ত্রুটি আসলে কী, বা এই সমস্যা সমাধানে কতটা সময় লাগবে সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানানো হয়নি। মেট্রো রেল আধিকারিকরাও নিশ্চিত নন। শনিবার অনেক অফিসেই হাফ ছুটি থাকে। সপ্তাহান্ত বলে অএকেই আবার কেনাকাটা বা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। এসব ক্ষেত্রেই অনেকের কাছে মেট্রোই ভরসা। মেট্রো বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন সেই সমস্ত অফিসফেরত ও সাধারণ যাত্রীরা।
দুপুর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ কালিঘাট মেট্রো স্টেশনে প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। তারপরেই ঘোষণা করা হয়, মেট্রো ছাড়তে দেরি হবে। গোলযোগের জন্য় ডাউন লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়তে থাকে পরপর। মেট্রো রেলের এই বিভ্রাট একেবারেই নতুন ঘটনা নয়। মাঝে মাঝেই মেট্রোর রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি, আবার কখনও সিগন্যাল সমস্যার কারণে পরিষেবা ব্যাঘাত ঘটে। কখনও কখনও আবার ট্রেনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাও ঘটে। তবে শনিবারের ঘটনা কী কারণে ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবারই জোকা-এসপ্ল্যানেড রুটে খিদিরপুর মেট্রো স্টেশন তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। অবশ্য এরই সঙ্গে রাজ্যের তরফ থেকে একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে। বলা হয়েছে, মেট্রো স্টেশনের কাজের সময় কোনও ভাবে যেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের কোনও কাঠামো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।