পুজোর মুখে ফের মেট্রোয় বিপত্তি। শুক্রবার ব্যস্ত সময়ে যতীন দাস পার্ক স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। এর জেরে ব্যাহত হল ব্লু লাইনের পরিষেবা। জানা গিয়েছে, মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন অর্থাৎ টালিগঞ্জ থেকে ময়দানের মধ্যে কোনও ট্রেন চলাচল করছে না।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে দক্ষিণেশ্বরগামী একটি মেট্রো যতীন দাস পার্ক স্টেশনে ঢুকতেই ঝাঁপ দেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে মেট্রো থামিয়ে বিপত্তি রোখেন চালক। এই মুহূর্তে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সে কারণেই পাওয়ার ব্লক করতে হয়েছে মেট্রোর লাইনে। আর তাই টালিগঞ্জ থেকে ময়দানের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। যদিও দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দানের মধ্যে এবং উত্তম কুমার থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা মিলছে। পুজোর সময়ে, ব্যস্ততার মধ্যে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী। অনেক সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে পুজোর আগে আজ শেষ কাজের দিন। ফলে অফিস পৌঁছতেও সমস্যায় পড়ছেন মেট্রোযাত্রীরা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।
তবে ব্লু লাইনে মেট্রো বিভ্রাট নতুন কিছু নয়। কখনও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, কখনও আবার ব্যস্ত সময়ে বিভ্রাট। কলকাতার লাইফলাইন মেট্রোর যাত্রা এখন যেন নিত্যযাত্রীদের কাছে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ৩ নয়া রুট চালু হতেই পুরনো ব্লু লাইনের পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। পুজোর মুখে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে মেট্রোয় নিত্যদিনের বিভ্রাটে নাভিঃশ্বাস উঠে যাচ্ছে যাত্রীদের। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে কখনও সঠিক সময়ে মেট্রো না আসা, কখনও শহিদ ক্ষুদিরামের বদলে টালিগঞ্জে মেট্রো রুট কাটছাঁট হয়ে যাওয়া কিংবা কখনও ডিসপ্লে বোর্ড অকেজো থাকার মতো সমস্যাগুলি যেন ক্রমশই বাড়ছে। ‘ভালো পরিষেবার প্রচার’ আর ‘বাস্তব ভোগান্তি’র ফারাক নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন নিত্যযাত্রীরা।