ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পথের সব স্টেশনেই এ বার কিউআর কোড নির্ভর টাকা (টিকিটের মূল্য) মেটানোর ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এর আগে শুধুমাত্র শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে ওই সুবিধা পাচ্ছিলেন যাত্রীরা। কলকাতা মেট্রো ঘোষণা করেছে যে, ব্লু লাইনের (দক্ষিণেশ্বর-নিউ গড়িয়া) সমস্ত স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে UPI পেমেন্ট-ভিত্তিক টিকিট সিস্টেম শীঘ্রই চালু করা হবে। এই পদক্ষেপটি মেট্রো যাত্রীদের জন্য টিকিট কেনার প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে।
UPI-ভিত্তিক টিকিট সিস্টেমের সুবিধা:
সুবিধাজনক: যাত্রীরা নগদ অর্থের পরিবর্তে UPI ব্যবহার করে সহজেই টিকিট কিনতে পারবেন।
দ্রুত: UPI লেনদেন দ্রুত এবং সহজ, যার ফলে টিকিট কেনার লাইনে সময় কম লাগবে।
সুরক্ষিত: UPI লেনদেন নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য, যা যাত্রীদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ক্যাশলেস: এই পদক্ষেপটি ভারত সরকারের ডিজিটাল অভিযানকে সমর্থন করে এবং দেশকে আরও ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
বর্তমানে, UPI-ভিত্তিক টিকিট সিস্টেম ব্লু লাইনের স্টেশনগুলিতে ইনস্টল করা সমস্ত স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিনে (ASCRM) উপলব্ধ।
এছাড়াও,এই টিকিট ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে:
গ্রীন লাইন ১ (হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড): এই করিডোরের সমস্ত টিকিট বুকিং কাউন্টারগুলি এখন UPI- সক্ষম।
গ্রীন লাইন ২ (শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ): এই করিডোরের সমস্ত টিকিট বুকিং কাউন্টারগুলিও UPI- সক্ষম।
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশা করে যে এই নতুন পদক্ষেপটি যাত্রীদের জন্য তাদের মেট্রো ভ্রমণ আরও সুবিধাজনক এবং আনন্দের করে তুলবে। বুকিং কাউন্টারে গিয়ে কোনও যাত্রী গন্তব্য স্টেশনের নাম বললে কাউন্টারে বসে থাকা কর্মী কম্পিউটারের নির্দিষ্ট বোতাম টিপলে পর্দায় একটি কিউআর কোড ভেসে উঠবে। ওই কোড যাত্রী এবং বুকিং কাউন্টারের কর্মী— দু’জনেই দেখতে পাবেন।
এর পরে ওই যাত্রী মোবাইলের ইউপিআই ব্যবস্থা থেকে কোডটি স্ক্যান করে নির্দিষ্ট টাকার অঙ্ক মেটালেই কাগজের কিউআর কোড সংবলিত টিকিট বেরিয়ে আসবে। সেই টিকিটই স্বয়ংক্রিয় গেটে স্ক্যান করে যাত্রী সফর করতে পারবেন। স্টেট ব্যাঙ্ক এবং সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমের সহায়তায় এই ব্যবস্থা রূপায়িত হয়েছে।