দরকার নেই আইডেন্টিটি কার্ডের। এবার পুরসভায় কর্মীদের ঢুকতে গেলে শুধু মুখ দেখালেই চলবে। মঙ্গলবার থেকে পুরসভায় 'ফেসিয়াল রিকগনিশনে'র কাজ শুরু হচ্ছে। সব কর্মীর মুখের বিশদ নেওয়া হবে। সেগুলি সংরক্ষণ করা হবে এবং কর্মীদের আইডি নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে। ডাটাব্যাঙ্ক তৈরি হয়ে গেলে, পুরসভার সমস্ত গেটে ক্যামেরা বসানো হবে। অফিসে ঢোকার সময় কর্মীদের কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরার সামনে থামতে হবে এবং উপস্থিতি চিহ্নিত করা হবে। যাওয়ার সময়ও রেকর্ড করতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর আগে কর্মীদের উপস্থিতি ইলেকট্রনিকভাবে রেকর্ড করার জন্য একটি সিস্টেম চালু করার কথা বলেছিলেন। ফিরহাদ বলেছিলেন যে, এটি নাগরিক সদর দফতরে বাইরের লোকের প্রবেশ বন্ধ করতে পারে। সেইসঙ্গে কোন কর্মী কখন আসছেন, কখন বেরোচ্ছেন তা ভালোভাবে জানা যাবে।
বর্তমানে নাগরিক সদর দফতরের সমস্ত কর্মচারীদের তাদের উপস্থিতির প্রমাণ হিসাবে একটি বইয়ে স্বাক্ষর করতে হয়। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পুর-কর্মীদের মুখের শনাক্তকরণের বিবরণ তালিকাভুক্তি শুরু করা হবে। সদর দফতরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। কলকাতা পুরসভায় প্রায় ৩,৫০০ কর্মচারী কাজ করেন। তাদের সকলের মুখের শনাক্তকরণের বিশদ সংগ্রহ করা হবে।
আগামী ২০ দিনের মধ্যেই প্রক্রিয়াটি শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে পুরসভা। সূত্রের খবর, এরপর পুরসভায় বিভিন্ন দরকারে আসা লোকজনের ক্ষেত্রেও আলাদা ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণের কাজ শুরু করবে পুরসভা। ইলেকট্রনিক রেকর্ডগুলি পুরসভায় জালিয়াতদের ঢোকা বন্ধ করতে সাহায্য করবে। জানা গেছে, পুরসভায় কোনও কাজ ছাড়াই অনেকে ঢোকে।
গেটে প্রহরীরা পুরসভায় ঢোকার ক্ষেত্রে বুঝতে পারেন না, কে কর্মী, আর কে বাইরের লোক। একবার উপস্থিতির নয়া ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং শুরু হলে, এই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।