বর্ষাকাল এখনও ঠিক মতো শুরু হয়নি। কিন্তু কলকাতার কিছু রাস্তায় এরই মধ্যে জমেছে জল। কোথাও গর্ত, কোথাও ড্রেনের সমস্যা। তাই আগেভাগেই কলকাতা পুলিশ চিঠি দিয়েছে পুরসভাকে—গর্ত ও নর্দমা পরিষ্কার করুন, না হলে শহরে বড়সড় যানজট হতে পারে।
পুলিশ জানায়, বর্ষাকালে কোন কোন এলাকায় জল জমে, সেই তালিকা তারা তৈরি করেছে। তাতে আছে উত্তর কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোড, রবীন্দ্র সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মুক্তরাম বাবু স্ট্রিট ও জ্যোতিন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউ। দক্ষিণ কলকাতায় আছে লাউডন স্ট্রিট, রডন স্ট্রিট ও নিউ পার্ক স্ট্রিটের নাম।
সোমবার সকালের বৃষ্টিতে মধ্য কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোড কিছুক্ষণের জন্য ডুবে যায়। তারপরেই হুগলি নদীতে ভাটা পড়তেই পৌরসভার নিষ্কাশন দফতর নামে গর্ত ও ড্রেন পরিষ্কারে। যাতে বৃষ্টির জল দ্রুত নেমে গিয়ে ট্রাফিক সমস্যায় পড়তে না হয় শহরবাসীকে। কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, “গর্ত পরিষ্কার করা দ্রুত শেষ হলে যানজট অনেকটাই কমবে। তাই ড্রেনেজ বিভাগের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চলছে।”
স্কুল বন্ধ থাকায় এখন অনেক এলাকায় ট্রাফিকের চাপ তুলনামূলকভাবে কম। সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে পুরসভাকে বলা হয়েছে বিকেল ও রাতের দিকে গর্ত পরিষ্কার করতে। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে সৌরভ গাঙ্গুলি লোয়ার রডন স্ট্রিটে জল জমা নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লেখেন। তখনও এলাকায় ড্রেন ব্যবস্থার খতিয়ে দেখা হয়।
পুরসভা জানায়, এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার তৈরির সময় নিচের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা মেরামত করে এখন পাম্পিং স্টেশনে জল পাঠানো হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিনের বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পুলিশ শহরের সব ট্র্যাফিক গার্ডকে সতর্ক করেছে। ভেজা মরসুমে শহর যাতে সচল থাকে, সেই লক্ষ্যে পুরসভা ও পুলিশ একসঙ্গে নজর রাখবে।