আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদের আবহে শেষমেশ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর কথা গতরাতেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেল ৪টার পরই কলকাতা পুলিশে রদবদল করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা কালীঘাটে মমতার বাড়িতে গেলেন বিনীত। যা ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের পর বড় পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরানো হচ্ছে ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে। সোমবার মধ্যরাতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান যে, বিনীতকে তাঁর পছন্দের জায়গায় পাঠানো হবে। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার কে হবেন, তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি এখনও। মঙ্গলবার বিকেলের পর তা জানানো হবে। সূত্রের খবর, অপসারণের আগে বদলি নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান বিনীত।
আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে সব মহল। প্রথম থেকেই কলকাতার নগরপালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীতকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষমেশ, তাঁদের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছে ধর্না। চলছে কর্মবিরতিও। আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যে ৫ দাবি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তার অধিকাংশটাই মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর দাবিও ছিল। তবে এখনও স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। আর এখানেই জট রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেছেন, 'আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না-বিক্ষোভ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।'