কসবা এলাকার দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে উত্তাল পরিবেশ। এই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি বলেন, 'তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।' তাঁর মতে, 'এই মুহূর্তে তদন্ত সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না। আগামী ১০ জুলাই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। তবে প্রাথমিকভাবে যা যা তথ্য সংগ্রহ হয়েছে, তাতে আমরা আশাবাদী যে তদন্ত যথাযথভাবে চলছে।'
মনোজ ভার্মা আরও বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা বা ঘটনার পর যা ঘটেছে, তা নিয়ে আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে, ফরেনসিক রিপোর্টের বেশ কিছু অংশ এসে গেছে। কিছু রিপোর্ট এখনও বাকি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' তাঁর কথায়, 'আমরা চাই দ্রুত চার্জশিট দাখিল হোক, অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়। পুলিশের তরফে কোনও গাফিলতি রাখা হবে না।'
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্ত চারজনকে ভোরে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিল ভিডিয়োগ্রাফি এবং ঘটনাস্থলের থ্রিডি স্ক্যানিং টিম। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, 'ঘটনার পুনর্নির্মাণ তদন্তের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আজকের তথ্যগুলিকে নির্যাতিতার বয়ান ও অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।'
ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার দিনের সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে। ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্তত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি কলেজের প্রাক্তনী ও অস্থায়ী কর্মী, তার বিরুদ্ধে আগেই ১১টি মামলা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার পরে ওই ব্যক্তি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর দুই সহযোগী বর্তমান ছাত্র, এবং তিনজনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত।