Advertisement

Kolkata Police: মদ খেয়ে গাড়ি চালালেও সমস্যা নেই,  কিন্তু মানতে হবে এই নিয়ম, জানালেন নগরপাল

সম্প্রতি ভয়াবহ ও বেনজির দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। এক তরুনীর স্কুটিতে ধাক্কা মেরে তাঁকে চাকায় আটকেই ছুটেছে গাড়ি। ভয়াবহ মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। যা নিয়ে দেশ তোলপাড়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজের দৃশ্য দেখে কার্যত আঁতকে উঠছেন তদন্তকারী থেকে সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ পথ দূর্ঘটনার পেছনেই উঠে আসছে অতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক কলকাতা পুলিশও। 

কলকাতা পুলিশকলকাতা পুলিশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 08 Jan 2023,
  • अपडेटेड 12:45 AM IST
  • সম্প্রতি ভয়াবহ ও বেনজির দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি।
  • এক তরুনীর স্কুটিতে ধাক্কা মেরে তাঁকে চাকায় আটকেই ছুটেছে গাড়ি।

সম্প্রতি ভয়াবহ ও বেনজির দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। এক তরুনীর স্কুটিতে ধাক্কা মেরে তাঁকে চাকায় আটকেই ছুটেছে গাড়ি। ভয়াবহ মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। যা নিয়ে দেশ তোলপাড়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজের দৃশ্য দেখে কার্যত আঁতকে উঠছেন তদন্তকারী থেকে সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ পথ দূর্ঘটনার পেছনেই উঠে আসছে অতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক কলকাতা পুলিশও। 

মদ খেয়ে গাড়ি চালানো নিয়ে কড়াকড়ি করছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও নগরবাসীর অভিযোগ, মদ খেয়ে সংযত হয়ে গাড়ি চালালেও পুলিশ হেনস্থা করছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মদ্যপান পরিমিত হলে গাড়ি চালানোয় বাধা নেই। কিন্তু মদ্যপান কতটা, তা যাচাই করতে হবে। 

শনিবার কলকাতার একটি বণিকসভার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল। সেখানেই তিনি জানান, সরকার স্বীকৃত পানশালাগুলি থেকে কেউ মদ্যপান করে বেরোলে তার প্রমাণ স্বরূপ একটি লিখিত বয়ান দেবে সেই পানশালা। তাহলে আর পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হবে না।

আরও পড়ুন

কিন্তু যদি কেউ মাত্রাতিরিক্ত পান করে চালকের আসনে বসে, সেক্ষেত্রে রেয়াত করা হবে না। একদিন আগেই কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, শহরের বারগুলিতেই ব্রেথ অ্যানালাইজার রাখতে হবে। গ্রাহকদের পরীক্ষা করতে হবে তাঁদেরই। অতিরিক্ত মদ্যপান করেছেন যারা, তাদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ তাদেরই নিতে হবে। বিষয়টিতে অবশ্য বেঁকে বসেছেন শহরের পানশালা ব্যবসায়ীরা। 

তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই পুলিশি হেনস্থার ভয়ে শহরের পানশালাগুলিতে গ্রাহক সংখ্য়া কমছে। ব্রেথ অ্যানালাইজারের ভয়ে বহু ক্রেতা পানশালামুখী হচ্ছিলেন না। এই নয়া ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলে কোনও ক্রেতাই পানশালামুখী হবেন না, আশঙ্কা তাঁদের। কিন্তু শহরে মদ্যপ বাইকার ও চালকদের দৌরাত্মে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। রেহাই পাচ্ছেন না পুলিশ কর্মীরাও। বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীদেরও। তাই মদ্যপানে রাশ টানাই প্রাথমিক কর্তব্য বলে মনে করছে লালবাজার। 

Advertisement

যেকারণে পুলিশের তরফে আরও ৩৫০০ সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের হিসাব অনুযায়ি ৬ হাজার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৩৫০০ বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে।

রাত বাড়লেই শহরের বাড়তে থাকে বাইকের দৌরাত্ম্য। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই অভিযোগ থাকে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত গতি কিংবা হেলমেট না পরার অভিযোগও ওঠে। আর তাতেই বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। লালবাজার সূত্রে খবর, গোটা শহরে ৩ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement