গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশ। এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে কড়া পদক্ষেপ করল লালবাজার। কোনও নির্মাণের কাজ হলে তার বৈধ নথি কী আছে এবং পুরসভার কাছে কী তথ্য রয়েছে, সেই সংক্রান্ত সব তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ। প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে। পুরনো বাড়ি থাকলেও তা দ্রুত চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচের ঘটনার পরই শহরের সমস্ত নির্মীয়মাণ ভবন তৈরির নথি খতিয়ে দেখার বিষয়ে পদক্ষেপ করছে লালবাজার। তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত বিভাগীয় কমিশনারকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ গার্ডেনরিচর ১৩৪ নং ওয়ার্ডে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতল। ওই বহুতল লাগোয়া ছিল ঝুপড়ি। বহুতল ভেঙে পড়ায় গুঁড়িয়ে যায় টালির চালের বাড়িগুলি। এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গার্ডেনরিচে বেআইনি ভাবে ওই বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই এলাকার বিধায়ক তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান ফিরহাদ। সঙ্গে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রীও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মমতা বলেন, 'এটা খুব ঘিঞ্জি এলাকা। প্রোমোটারদের একাংশ বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি করেন। তার আগে ভাবা দরকার, আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁদের যাতে ক্ষতি না হয়। আমি শুনলাম, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই বহুতলটি তৈরি করা হয়নি।' মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোমোটারকে। কলকাতা পুরসভার নির্মাণ দফতরের দুই ইঞ্জিনিয়রকে শোকজ করা হয়েছে।