Advertisement

Kolkata Father Daughter Tragedy: 'ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি,' বেহালার বন্ধ দোকানে মিলল বাবা ও অটিস্টিক মেয়ের ঝুলন্ত দেহ

বেহালার শকুন্তলা পার্কে একটি দোকান থেকে উদ্ধার হলো বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। মৃতদের নাম স্বজন দাস (৫৩) এবং তাঁর মেয়ে সৃজা দাস (২২)। পরিবারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বজন দাস। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন স্ত্রী।

মর্মান্তিক ঘটনা, দোকানে উদ্ধার বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ।মর্মান্তিক ঘটনা, দোকানে উদ্ধার বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Mar 2025,
  • अपडेटेड 12:22 PM IST

বেহালার শকুন্তলা পার্কে একটি দোকান থেকে উদ্ধার হলো বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। মৃতদের নাম স্বজন দাস (৫৩) এবং তাঁর মেয়ে সৃজা দাস (২২)। পরিবারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বজন দাস। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন স্ত্রী। পরে বেহালার দোকানের অফিস ঘর থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়।

সৃজা দাস অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন এবং দীর্ঘ চিকিৎসাতেও বিশেষ উন্নতি হয়নি। বাবার মানসিক অবসাদের কারণ হিসেবে এটিকেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। স্বজন দাস পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর দোকান ছিল শকুন্তলা পার্ক এলাকায়। চিমনি ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের ব্যবসা। সেখানেই অফিস ঘরে পাওয়া যায় দুজনের ঝুলন্ত দেহ।

শুক্রবার দুপুরে মেয়েকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হন স্বজন দাস। কর্মচারীদেরও জানানো হয়েছিল যে দোকান বন্ধ থাকবে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণ পর স্বজন দাস স্ত্রীকে ফোন করে জানান যে তাঁরা এসএসকেএমে পৌঁছে গেছেন। এত তাড়াতাড়ি পৌঁছনোয় স্ত্রীর সন্দেহ হলেও তিনি আর কিছু জিজ্ঞাসা করেননি।

কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় তাঁরা এসএসকেএমে নয়, শকুন্তলা পার্কের দোকানেই ছিলেন। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অফিস ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের কোনও খোঁজ না মেলায় উদ্বিগ্ন স্ত্রী পরিচিতদের মাধ্যমে দোকানে খোঁজ নেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বাবা ও মেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।

পর্নশ্রী থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লালবাজারের গোয়েন্দা শাখাও তদন্ত শুরু করেছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানের আশপাশের ব্যবসায়ীরা স্বজন দাস ও তাঁর মেয়ের এমন পরিণতিতে হতবাক। সকলেই জানিয়েছেন, দুজনেই খুব মিশুকে ছিলেন। তবে স্বজন দাস যে এতটা মানসিক চাপে ছিলেন, তা কেউ আঁচ করতে পারেননি। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement